Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অনেক হয়েছে, এবার ভোট হোক: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:০১ PM
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:০১ PM

bdmorning Image Preview


শুক্রবারের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী বিচারপতি হিসেবে ব্রেট কাভানার নিয়োগ প্রশ্নে সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটিতে ভোট গৃহনের সিদ্ধান্ত অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। কাভানার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এফবিআই দ্বারা একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি করেছেন।

এর আগে প্রতিটি রিপাবলিকান সরোষে এফবিআই তদন্তের সব দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছিলেন, অনেক হয়েছে, এবার ভোট হোক। কাভানা নিজেও এমন কোনো তদন্তের বিপক্ষে ছিলেন। এর আগে ফ্লেক নিজেও এমন কোনো দাবি তোলেননি। হঠাৎ এমন কী ঘটল যে ফ্লেক তাঁর মত বদলে ফেললেন?

সকালে কমিটি কক্ষে প্রবেশের জন্য লিফটে প্রবেশ করছিলেন সিনেটর ফ্লেক। তাঁর পথ আটকে দাঁড়ান দুই নারী—যাঁরা উভয়েই যৌন নির্যাতনের শিকার। তাঁরা ফ্লেকের কাছে জানতে চান, যৌন নির্যাতনের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পরেও কাভানার মতো একজন মানুষকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ দেওয়া হবে কেন? ক্ষমতাবান মানুষেরা কি কেউই যৌন নির্যাতনের শিকার এমন নারীদের কথা কানে তুলবেন না?

একজন অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে জানালেন, ‘আমি নিজে যৌন নির্যাতনের শিকার। এ কথা আজ পর্যন্ত আমি কাউকে বলিনি। আপনারা এখন বলছেন যে এমন ঘটনার কোনো গুরুত্ব নেই, আমাদের মুখ বন্ধ করে থাকা উচিত। কী ঘটেছিল, তা শোনার পরও আপনারা আমাদের কথা উপেক্ষা করবেন? আমরা ক্ষমতাহীন, কিন্তু আপনার তো ক্ষমতা আছে একটা কিছু করার।’

৫১-৪৯ ভোটে বিভক্ত সিনেটে রিপাবলিকান দল বড় জোর একজন সিনেটরের ভোট হারাতে পারে। তার বেশি ‘না’ ভোট পেলে কাভানার নিয়োগ ফেঁসে যেতে পারে। বাধ্য হয়েই এই দাবি মেনে নিলেন চাক গ্রাসলি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও জানালেন, সিনেট যে সিদ্ধান্ত নেবে, তিনি তাঁর প্রতি সমর্থন দেবেন। কাভানা নিজেও এই তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন।

৩৬ বছর আগে কী ঘটেছিল, এই তথ্য উদঘাটন খুব সহজ নয়, এমনকি এফবিআইয়ের পক্ষেও। অধ্যাপক ফোর্ড জানিয়েছেন, মার্ক রিচ নামে আরেক ছেলে কাভানার সঙ্গে যৌন নির্যাতনে অংশ নেয়। মদ্যপ হিসেবে পরিচিত মার্ক ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, এমন কোনো ঘটনার কথা তিনি জানেন না। এফবিআই তাঁকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর স্মৃতি ফের চাঙা হতে পারে, এমন আশা কেউ কেউ করছেন। স্কুলে ও কলেজে কাভানা নিজেও অতিরিক্ত মদ্যপান করতেন, এ কথা তাঁর একাধিক সহপাঠী জানিয়েছেন। ভাবা হচ্ছে, এখন এফবিআইয়ের তদন্তে সেসব তথ্যের পাশাপাশি কাভানার জন্য অস্বস্তিকর আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।

এফবিআইয়ের একজন সাবেক উপপ্রধান ‘পলিটিকো’-কে জানিয়েছেন, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে পড়লে বিপদে পড়ে যাবেন কাভানা।

Bootstrap Image Preview