বুধবার আফগানিস্তোনের বিপক্ষে ম্যাচ না খেলেই জরুরি ভিত্তিতে দেশে ফিরে আসেন সাকিব আল হাসান।কারণ হাতের ইনজুরি জায়গায় আগের চেয়ে তীব্র মাত্রায় ব্যাথা বৃদ্ধি ও ফুলে যাওয়া। তখন হয়তো অনেকেই বিষয়টার গুরুত্ব ততটা অনুধাবণ করতে পারেনি। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে আর বিলম্ব হলেই সাকিবের হাতে পছন ধরা শুরু হতে পারত।
বুধবার বিকাল ৪টা নাগাদ দুবাই থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে তরিঘরি করে দেশে ফিরে আসেন সাকিব। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে তার বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে অস্ত্রপচার করানো হয়। আঙুলে ইনফেকশন এমন মাত্রায় ছড়িয়েছে যে, তা সারাতে পুঁজ অপসারন করা হয়েছে। যার পরিমান ৬০ থেকে ৭০ মিলি! চিকিৎসকরা বিস্মিত, হতবাক। হাসপাতালে এখন সাকিব অ্যান্টি বায়েটিকের ওপর থাকছেন সাকিব। দেশের বাইরে অন্তত ৭২ ঘন্টার মধ্যে যাওয়া হচ্ছে না তাঁর।
ডাক্তারা বলেছেন আর ২/৩ ঘন্টা পরে অস্ত্র পচার করানো হলে তার হাতে পচন ধরার শঙ্কা ছিল। এমনকি সাকিবের আঙুল দেখে ডাক্তার অবাক হয়ে সাকিবকে প্রশ্ন করে বসেন যে তিনি আঙুলের এমন অবস্থা নিয়ে কিভাবে খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।যেখানে কোন কাজই করা যায় না! কিভাবে এতোদিন বল-ব্যাট হাতে দেশের জন্য লড়লেন সাকিব?
একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতাকারে সাকিব বলেন, হাতের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল না ২/৩ ঘন্টার মধ্যে অপারেশন না করালে পুরো হাতেই পচন ধরতে পারত। আর সে সময় সিঙ্গাপুর বা থাইল্যান্ডের ভিসা না থাকায় তাৎক্ষনিক ঢাকাতেই অপারেশনটা করিয়ে ফেলি। এখন আপাতত কমপক্ষে তিন দিন অ্যান্টি বায়েটি খেতে হতে। এরপরই বাইরে বাইরের দেশে চিকিৎসা করাতে যেতে হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন `সাকিবের আঙুল থেকে পুঁজ বেরিয়ে আসছে, যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এই মুহূর্তে ডাক্তারের পরামর্শের অপেক্ষায় আছি`।