রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সমালোচনায় কারণে একের পর এক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মাননা হারাচ্ছেন ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। এবার তার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিল করার পদক্ষেপ নিচ্ছে কানাডা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও নিপীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে সু চিকে ২০০৭ সালে দেয়া সম্মানসূচক কানাডার নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য ট্রুডো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘কানাডার পার্লামেন্ট তাকে সম্মানজনক নাগরিকত্ব দিয়েছে এবং এটি নিয়ে অবশ্যই আমরা আলোচনা করতে পারি।’
জাস্টিন ট্রুডো আরো জানিয়েছেন, ‘তবে একটি বিষয় আরো পরিষ্কার হওয়া দরকার অং সান সু চির কানাডার নাগরিকত্ব থাকুক আর নাই বা থাকুক- এতে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নৃশংসতা ঠেকাতে সু চি তার ক্ষমতা বা ‘নৈতিক কর্তৃত্বের’ কোনোটাই ব্যবহার করেনি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে গত মাসে সাবেক লিবারেল পার্টির মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রখ্যাত আইনজীবী ইরউইন কটলার সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
সু চির নাগরিকত্ব বাতিল চেয়ে ৫৬ হাজার স্বাক্ষর সম্বলিত একটি পিটিশন ট্রুডোর কাছে জমা দেয়া হয়। কানাডার র্দীঘ ১৫০ বছরের ইতিহাসে বিশ্বের মাত্র ছয়জনকে সন্মানসূচক এ নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। এ ছয়জনের মধ্যে সু চিসহ চারজন আবার শান্তিতে নোবেল বিজয়ী।
কানাডার আইনে সাধারণ নাগরিক ও সন্মানসূচক নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য উল্লেখ করা হয়নি। প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার পর সমালোচনার মুখে থাকা সুচি এর আগে ফ্রিডম অব এডিনবরা, অক্সফোর্ড, গ্লাসগো এবং নিউক্যাসলের ফ্রিডম অব সিটি পুরস্কারও বাতিল করা হয়।