উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর কুল উপচে চরাঞ্চলের ৭টি গ্রামের সাড়ে ৪০০ বিঘা জমির বিভিন্ন জাতের ফসল তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বহমান যমুনা নদীর পানি ১৬.৭০ সেন্টিমিটার বিপদসীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে পানি বেড়ে ফুসে উঠেছে যমুনা নদী।
রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১২সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর কুল উপচে পানি চরাঞ্চল ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দিকে ধেয়ে আসছে। নদীর পূর্ব তীর ডুবে পুকুরিয়া, কৈয়াগাড়ি, শহড়াবড়ি, বানিয়াজান, ভান্ডারবাড়ি, বৈশাখী ও রাধানগর চরের কৃষকের জমির ধান, মাসকলাই, মরিচ, আখ ও বিভিন্ন জাতের সবজি ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
বৈশাখী চরের কৃষক আসমত আলী বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান, ৩০ শতক জমিতে মরিচ ও ১০ শতক জমিতে সবজি চাষ করেছিলাম। কিন্তু রবিবার সকালের দিকে পানি বেড়ে সেই ক্ষেতের ফসল তলিয়ে গেছে।
উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, প্রতিদিনই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে চরাঞ্চলে ক্ষেতের ফসল তলিয়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বাড়িঘরে এখনও পানি উঠে নি। এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারি প্রকৌশলী হারুনর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখা হয়েছে।