Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তিন দিন বাথরুমে বন্দি, করছিলেন মৃত্যুর অপেক্ষা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:২১ PM
আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:২১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


৫৪ বছরের একজন থাই নারী দুর্ঘটনাক্রমে নিজেকে আটকে ফেলেছিলেন বাথরুমে। তিন দিন ধরে চিৎকার করেও নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি। করছিলেন মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা ।একা থাকার অনেক সুবিধা রয়েছে আবার অসুবিধাও আছে।যেটা এই নারী সম্প্রতি বুঝতে পেরেছেন। নাম প্রকাশ না করে থাই সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ওই নারী বাথরুমের ঢোকার পরই দুর্ঘটনাক্রমে বাথরুমের লক আটকে যায়। এর পরই তিনি দরজা ধাক্কাতে থাকেন ও চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু তাকে সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না। প্রতিবেশীরাও তাঁর চিৎকার শুনতে পাননি। তাই তাঁকে বাথরুমের পানি খেয়েই থাকতে হয়েছে তিন দিন।

দুই দিনেও যখন কেউ তাঁকে উদ্ধার করতে এলো না, ক্লান্ত ওই নারী তখন বাথরুমের দেয়ালে লিখতে শুরু করেন। বাথরুমে থাকা প্রসাধনী দিয়ে তিনি লিখেছিলেন এবং মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন।ভাগ্যক্রমে ওই নারীর বোন এগিয়ে আসেন। দুই দিন ধরে বোনের খবর না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। বোনকে না পেয়ে পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ৫৪ বছর বয়সী ওই নরীর বাসায় যায়। ডকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয়, দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকার।  

পুলিশ ভেতরে ঢুকে বাথরুমে তাকে আবিষ্কার করে। খুব দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে তাঁকে সাথে সাথেই হাসপাতালে পাঠানো হয়।পুলিশ বাথরুমের দেয়ালে লেখা বার্তার ছবি তুলে নিয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘২২ আগস্ট আমি বাথরুমে আটকে যাই। যদি আমি মরে যাই তাহলে আমার দলিলপত্র দেখে রেখো। দয়া করে টুকের সম্পত্তি তুয়া তুন তুমকে দিয়ো। বেঁচে থাকার জন্য আমি কলের পানি খেয়েছি। পানি ছাড়া আমি হয়তো মরে যেতাম। আমি দোয়া করেছি, চিৎকার করেছি, দরজা ভেঙে ফেলতে চেয়েছি; কিন্তু কেউ আমাকে শুনতে পায়নি। 

Bootstrap Image Preview