Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পৃথিবীর চেয়ে ৩ গুণ বড়, নয়া আবিষ্কৃত এই গ্রহে থাকতে পারে জলীয় বাষ্প সম্পৃক্ত মেঘ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০২১, ০৬:১৮ PM
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২১, ০৬:১৯ PM

bdmorning Image Preview


পৃথিবী থেকে ৯০ আলোকবর্ষ দূরে জলীয় বাষ্পে সম্পৃক্ত মেঘ থাকতে পারে এমন নব আবিষ্কৃত এক গ্রহ যার আকার পৃথিবীর সাড়ে তিন গুণেরও বেশি। একটি লাল নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে এই গ্রহ। আবিস্কার করেছেন নাসা।

TOI-1231 b গ্রহটির ২৪ দিনে তার 'সূর্য'-কে একবার প্রদক্ষিণ করে। অর্থাত্ মাত্র ২৪ দিনেই বছর। ফলে সেটি যে তার নক্ষত্রের বেশ কাছাকাছিই প্রদক্ষিণ করে তা বলাই যায়।

বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত গবেষণায় নিয়োজিত অন্য কোন গ্রহে প্রাণের সন্ধ্যান নিয়ে। এই ব্রহ্মাণ্ডে কোথাও কি রয়েছে পৃথিবীর দোসর? যেখানে থাকবে নির্দিষ্ট বায়ুমণ্ডল। আর থাকবে প্রাণ।

তবে আজও তার খোঁজ মেলেনি। তবে খোঁজায় কসুর রাখেননি জোতির্বিজ্ঞানীরা। এবার তাঁরা আবিষ্কার করলেন একটি নতুন গ্রহ। আমাদের সৌরজগৎ থেকে বহু দূরে তার অবস্থান। পৃথিবী থেকে দূরত্ব ৯০ আলোকবর্ষ। যেটিকে দেখে বিস্মিত গবেষকরা।

জেনিফার বার্ট নামে নাসার এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও তাঁর সঙ্গী গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন TOI-1231 b নামের এই গ্রহটিকে। সেটি পাক খাচ্ছে এক ‘লাল বামন’ অবস্থাপ্রাপ্ত নক্ষত্রের চারদিকে। একবার প্রদক্ষিণ করতে লাগে মাত্র ২৪ দিন।

নেপচুনের আকারের এই গ্রহটির আবহাওয়া মূলত গ্যাসীয়। সবথেকে বড় কথা গ্রহটি অনেকটাই ঠান্ডা। এর নির্দিষ্ট আবহাওয়ামণ্ডল রয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আশাও জাগতে পারে প্রাণের সন্ধান মেলার। কিন্তু সেটি সম্ভব নয়, বলেই মত বিজ্ঞানীদের। এর পিছনে অন্তরায় এর আকার। আকারে পৃথিবীর প্রায় সাড়ে তিন গুণ হওয়ার কারণেই ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সম্পন্ন এই গ্রহটি শেষ পর্যন্ত নিষ্প্রাণ বলেই ধারণা।

NASA এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সৌরমণ্ডলের বাইরে সন্ধান মেলা গ্রহদের মধ্যে এটি অন্যতম ঠান্ডা গ্রহ। এই গ্রহে মৌলগুলি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। যার ফলে কার্যত এই গ্রহটি বিজ্ঞানীদের কাছে কৌতূহলের বস্তু হয়ে উঠেছে।

তাঁরা মনে করছেন, এই গ্রহটি পর্যবেক্ষণ করার পক্ষে খুবই ভাল। তাই টেলিস্কোপের সাহায্যে এর চরিত্র বিশ্লেষণ করে গ্রহ সম্পর্কে তাঁদের ধারণায় নতুন কিছু অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা তা দেখছেন তাঁরা। 

সৌরজগতে প্রাণের অস্তিত্ব যে পৃথিবী ছাড়া আর কোথাও নেই, তা পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে। ফলে দূরের নক্ষত্রমণ্ডলে গ্রহ খুঁজে পেলে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে কিনা তা বুঝতে এই ধরনের গ্রহের পর্যবেক্ষণ কাজে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview