Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পেরুকে হারিয়ে কোপার ফাইনালে ব্রাজিল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২১, ১১:৫০ AM
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২১, ১১:৫০ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


কোপা আমেরিকা ২০২১ এর প্রথম সেমিফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিল মুখোমুখি হয় পেরুর। পরে পেরুকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। সেমিফাইনালে ১-০ গোলে জিতে মহাদেশীয় আসরটিতে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গা করে নিল তিতের শিষ্যরা।

ম্যাচের প্রথম থেকেই পেরুর রক্ষণে কড়া নাড়ছিলেন নেইমার, এভারটনরা। ৭ মিনিটে সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু রিশার্লিসনের সে কাটব্যাক থেকে শটটা জোরাল ছিল না তেমন, সহজ সেভে পেরুকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক গালেসে। 

১৯ মিনিটে প্রথম বড় সুযোগটা পায় ব্রাজিল। সে যাত্রায় গোলরক্ষক গালেসের কল্যাণে গোল হজম করেনি পেরু। ক্যাসেমিরোর থ্রু বল থেকে লুকাস পাকেতা বাইলাইনের কাছে পেয়ে যান বল, তার কাটব্যাক থেকে নেইমারের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন গালেসে। রিশার্লিসনের ফিরতি চেষ্টাটাও এরপর শেষ হয়েছে গালেসের সেভ থেকেই। 

২৫ মিনিটে অবশ্য ভজকট পাকিয়ে বসেন সেই গালেসেই। লং বলে ব্রাজিলের একটা আক্রমণ রুখতে গোলমুখ থেকে সরে অনেকটা বক্সের মুখেই চলে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকে এভারটন রিবেরিও ক্রস করেন মাঝে, তখনো গোলমুখে ফেরেননি পেরু গোলরক্ষক। তার অনুপস্থিতিতে ব্রাজিলের দুটো শট দারুণভাবেই রুখেছে পেরুভিয়ানরা, ফলে আরও একবার সেলেসাওদের ফিরতে হয় শূন্য হাতে। 

এর মিনিট পাঁচেক পর আবারও আক্রমণ নেইমারের। তবে তার শট রক্ষণভাগে দিক বদলে অনেকটাই দুর্বল হয়ে হাতে জমা পড়ে পেরু গোলরক্ষকের হাতে। 

তবে ম্যাচের অচলাবস্থা ভাঙে খেলার ৩৪ মিনিটে। নেইমার দারুণ এক আক্রমণের শেষ দিকে ঢুকে পড়েন পেরু রক্ষণে। ততক্ষণে চার পেরুভিয়ান ডিফেন্ডার ছেঁকে ধরেছেন তাকে, নেইমার বল হারাননি তাতে, দারুণ ক্লোজ কন্ট্রোলে বল দখলে রেখে শেষে বাড়ান সতীর্থ লুকাস পাকেতাকে। তার প্রথম ছোঁয়াতেই করা দারুণ শটে ব্রাজিল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। এই সবেধন নীলমণি গোলে এগিয়েই বিরতিতে গেছে কোচ তিতের শিষ্যরা।

সেমিফাইনালের প্রথমার্ধ যেমন জমজমাট ছিল ঠিক তার বিপরীত চিত্রের দেখা মিলেছে দ্বিতীয়ার্ধে। ব্রাজিল ১-০ গোলে লিড নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে। আর তাতেই ম্যাচ কিছুটা ঝিমিয়ে যায়। পেরু নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করলেও ব্রাজিলের রক্ষণে কোনো ফাটল খুঁজে পায়নি। অন্যদিকে ব্রাজিলের রক্ষণাত্মক ফুটবলের কারণে দেখা মেলেনি আর কোনো গোলের।

দ্বিতীয়ার্ধে পেরু বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করে কিন্তু থিয়াগো সিলভা ও মার্কুইনস জুটির দুর্দান্ত রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি তারা। খেলার সময় ঘণ্টার কাঁটা ছুঁতেই দারুণ এক চেষ্টা করে পেরু। দূর থেকে নেওয়া শটে এডারসনকে পরাস্ত করতে চেয়েছিলেন পেরুর গার্সিয়া কিন্তু বিপদ বুঝতে পেরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল তা রুখে দেন। এরপর মার্কুইনস পুরোপুরি বিপদমুক্ত করেন ওই সময়ে।

এর আগে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণে মনোযোগ দেয় পেরু। প্রতি আক্রমণের পথ বেছে নেয় ব্রাজিল। ৫০তম মিনিটে সমতা ফেরানোর ভালো একটা সুযোগ পায় পেরু। কিন্তু এদেরসন ছিলেন পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে। নিজেদের অর্ধ থেকে ইয়োশিমার ইয়োতুনের বাড়ানো বল ধরে ডি বক্স থেকে শট নেন জানলুকা লাপাদুলা। ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ফেরান এডারসন।

পেরুকে হারিয়ে কোপার ফাইনালে ব্রাজিল

৮১তম মিনিটে সমতা ফেরানোর আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করে পেরু। ইয়োতুনের ফ্রি কিকে সবার উঁচুতে লাফিয়ে হেড করেন আলেক্সান্ডার কায়েন্স। কিন্তু বল ছিল না লক্ষ্যে। আর তাতেই রক্ষা মেলে ব্রাজিলের।

এরপর বাকি সময়ে পেরু বলের দখলে থেকে আক্রমণ করতে থাকলেও ভয় জাগানো তেমন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। আর তাতেই শেষ পর্যন্ত লুকাস পাকুয়েতার করা একমাত্র গোলেই ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।

Bootstrap Image Preview