বিডিমর্নিং ডেস্কঃ মৃত লুলু মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগম পরিবারের অভাব মেটাতে মেয়ে সোহানা ও ছেলে লিটনকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরিতে নেন। মায়ের সাথে দেখা করতে ঢাকার পথে রওনা হন পিতৃহারা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সোহানা খাতুন। কিন্তু পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন সোহানা। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে মির্জাপুর উপজেলার কুরনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রংপুর থেকে ছেড়ে আসা সেবা ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মির্জাপুর উপজেলা কুরনি এলাকায় বিকল হয়ে পড়ে। মেরামতের জন্য রাস্তার পাশে দাঁড় করানো হয় বাসটি। সকাল ৭টার দিকে ঢাকাগামী সবজি ভর্তি একটি ট্রাক বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ৬ জন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন, রংপুরের পীরগঞ্জে শানেরহাট ইউনিয়নের হরিপুর শাহাপুর (রাজাকপুর) গ্রামের মৃত লুলু মিয়ার মেয়ে সোহানা। সে শানেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। একই ইউনিয়নের ধল্যাকান্দি গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে রিকশাচালক আশরাফুল ইসলাম (৩২), একই গ্রামের সেরাজুল ইসলাম (৩০), খোলাহাটি গ্রামের মৃত: মছির উদ্দিনের ছেলে সৈয়দ আলী (৩৫), হরিরাম সাহাপুর রাজাকপুর গ্রামের সোবহানের ছেলে শওকাত আলী (১২), একজন এখনো অজ্ঞাত রয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন ও পুলিশ সার্জেন্ট মো. রোবায়েত হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে ৪ জন ও হাসপাতালে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও ৫ জন।
উল্লেখ্য, সোহানা তার মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য চাচাতো ভাই ছোবহান মিয়ার ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র শওকাত মিয়াকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বড়দরগা বাসস্ট্যান্ড থেকে ‘সেবা ক্লাসিক পরিবহনে’ চড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই বাসে পীরগঞ্জের আরও ৪ জন উঠেন। ঢাকা যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় সোহানা।