বগুড়া শহরতলীতে পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে খুন করার অভিযোগ উঠেছে রাকিবুল হাসান (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে মায়া খাতুনকে ছুরিকাঘাত করার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
নিহত মায়া খাতুন (২০) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ভুরঘাটা গ্রামের তোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে।
গ্রেপ্তারকৃত রাকিবুল হাসান বগুড়া শহরতলীর বারপুর মধ্যপাড়ার আবু জাফরের ছেলে এবং বগুড়া পৌরসভার চুক্তিভিত্তিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম জানান, দেড় বছর আগে হাসানের সঙ্গে মায়ার বিয়ে হয়। এর আগেও অন্যস্থানে একটি বিয়ে হয়েছিল মায়ার। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ চলছিল। হাসানের সন্দেহ, তার স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, এ কারণে তাকে পছন্দ করেন না।
পুলিশ পরিদর্শক আরও জানান, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসান ও মায়ার মধ্যে আবার ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায় হাসান তার স্ত্রীর বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মায়াকে রাতেই বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৮টার দিকে মারা যান মায়া।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গতকাল ঘটনার পর থেকেই পুলিশ হাসানের সন্ধান শুরু করে। আজ বেলা ১১টার দিকে কৌশলে হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি তার দেওয়া তথ্যেও ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে। মায়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।