Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

টাইগারদের কাছে হ্যাটট্রিক হোয়াইটওয়াশ হলো জিম্বাবুয়ে 

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ১০:০১ PM
আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ১০:০১ PM

bdmorning Image Preview


এই প্রথম কোন দলকে হ্যাটট্টিক হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, টাইগারদের কাছে টানা ১৩টি ওয়ানডে ম্যাচ হারলো জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছে মাশরাফিরা।তাই মানরক্ষার তৃতীয় ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামেন মাশরাফি।

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের খেলায় এমন দর্শক আগে কখনো হয়েছে বলে মনে হয় না। ২০ হাজার ধারণ ক্ষমতার এই জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামের গ্যালারি যেন কানায় কানায় ভর্তি ছিলো। দর্শকের আনন্দ উল্লাসের তাপ যেন   ছড়িয়ে পড়ে চারি দিকে।

প্রথমে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮৬ রান করে।  ২৮৭ রানের জয়ের লক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই ৭ উইকেটের বিরাট জয় তুলে নেয় টাইগাররা।

শূন্য রানে লিটনের বিদায়ঃ গত ম্যাচের হিরো এই ম্যাচের প্রথম বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে ফিরে যান সাজ ঘরে।যদিও এমন এলবিডব্লিউ  আউট না দিলেও পারতেন আম্পায়ার।লিটনের এমন বিদায়ে হতাশ হন গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা।

সৌম্য ও ইমরুলের জুটিঃ শূন্য রানে লিটনের বিদায়ের পর ব্যাটিংইয়ে আসেন সৌম্য সরকার। এই দুই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান মিলে দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। ১৩ ওভারের মাথায় নিজের ক্যারিয়ারে ১৭তম ফিফটি তুলে নেন ইমরুল। এর ঠিক ৬ অভার পরে সৌম্য তার ক্যারিয়ারের ৭তম হাফ- সেঞ্চুরি তুলে নেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ের বোলাররা।

সৌম্যর বিদায়ঃ এই দিন ক্যারিয়ারের সেরা দ্বিতীয় ইনিংস খেললেন ৯২ বলে ১১৭ রান করলেন। সেঞ্চুরি করতে তিনি ৬টি ছক্কা ও ৯টি চার মারেন। শুধু তাই নয়, ইমরুলের সাথে তাঁর এই ২২০ রানের জুটি বাংলাদেশের সেরা ওয়ানডে ম্যাচের জুটি।

সৌম্যর পর ইমরুলের সেঞ্চুরিঃ ইমরুল যে ফর্মে আছেন সেটা সিরিজের শুরু থেকেই বুঝা যাচ্ছিলো। প্রথম ম্যাচে ১৪৭ রান দ্বিতীয় ম্যাচে ৯০ রান আর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে করলেন ১১৫ রান।। এক সিরিজে দুইটা সেঞ্চুরি এই প্রথম ইমরুলের । এটি তাঁর ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি।

শেষ মুহুর্তে ইমরুলের বিদায়ঃ ৩৯ ওভারের সময় টাইগারদের জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার ছিলো ঠিক সেই সময় ১১২ বলে খেলে ১১৫ রান করে ক্যাচ আউট হন ইমরুল কায়েস।

 

এর আগে টাইগারদের ফিল্ডিংয়ের সময়,

উইকেট ভাঙলেন সাইফউদ্দিনঃ এই সিরিজের শুরু থেকেই ফর্মে আছেন সাইফউদ্দিন সেই দাপটটা দেখালেন ১ওভার ৩ বলের মাথায়। উড়িয়ে দিলেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার জোয়াওয়ের উইকেট।

মাসাকাজাকে বোল্ট করলেন রনিঃ সাইফউদ্দিনের উইকেটের পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে জিম্বাবুয়ের ক্যাপ্টেন মাসাকাজাকে ইন সাইড বোল্ড আউট করেন মুস্তাফিজের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া আবু হায়দার রনি। এই সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিলো ২ ওভার ৪ বলে ২ উইকেটে ৬ রান।

টেইলর ও উইলিয়ামসের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা: শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর টাইগার বোলারদের প্রতিরোধ করে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ে। এই দুই দুটিতে ১৩২ রান আসে।

অপুর ছোবলে টেইলরের বিদায়ঃ এরপর ২৬ ওভার ৩ বলে দীর্ঘ সময় উইকেটে থাকা টেইলরকে ক্যাচ আউট করেন অপু ভেঙে যায় উইলিয়ামস ও টেইলরের ১৩২ রানের বিরাট জুটি।

অপুর দ্বিতীয় উইকেটঃ টেলরের বিদায়ের পর রাজার সাথে ৮৬ রানের জুটি গড়ে উইলিয়ামস। এই জুটির উপর ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে জিম্বাবুয়ে । এরপর খেলার ঠিক ৪২ ওভারের মাথায় রাজাকে ক্যাচ আউট করেন অপু।

উইলিয়ামসের সেঞ্চুরিঃ দীর্ঘ সময় উইকেটে থাকা উইলিয়ামস ১২৪ বলে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে। এই সেঞ্চুরি করতে তিনি ৮টি চার হাঁকিয়েছেন।

সাইফউদ্দিনের বলে রান আউট মুরঃ খেলার শেষ অভারে সাইফউদ্দিনের বলে রান আউট হন মুর।  এই সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিলো ২৮৪ রান।

মাশরাফি একাদশঃ লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ,সৌম্য সরকার, আরিফুল হক,নাজমুল ইসলাম অপু, আবু হায়দার রনি ও সাইফউদ্দিন।

Bootstrap Image Preview