Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খাশোগি নিখোঁজের ঘটনায় বেনিফিট অব ডাউটের সুবিধা পেল সৌদি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১১:২১ AM
আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১১:২১ AM

bdmorning Image Preview


সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিখোঁজের ঘটনায় সৌদি আরবকে বেনিফিট অব ডাউটের সুবিধা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা খাশোগির নিখোঁজের ঘটনায় সৌদির প্রতিই আঙুল তুলেছেন।

 মার্কিং গণমাধ্যামের এক সাক্ষাৎ কারে, আমি মনে করি- সেখানে কী ঘটেছিল, প্রথমে তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আপনারা ভাবছেন, নিরাপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ অপরাধী, কিন্তু আমি এমনটি মনে করি না।

এদিকে সাংবাদিক খাশোগির অন্তর্ধান রহস্যের জবাব পেতে সৌদি আরব সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সেখানে তিনি বাদশাহ সালমানসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন।

মঙ্গলবার বাদশাহর সঙ্গে ১৫ মিনিট সাক্ষাতের পর তার ছেলে সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও প্রায় ৩৫-৪০ মিনিটের মতো বৈঠক করেছেন পম্পেও।

খাশোগির বিষয়টি জানানোর জন্য প্রচণ্ড আন্তর্জাতিক চাপে আছে সৌদি আরব। এর মধ্যে দেশটিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে খাশোগির ভাগ্যে কি ঘটেছে তার ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য দেশটির ওপর চাপ আরও বাড়ছে।

দুই সপ্তাহ আগে তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল সৌদি সাংবাদিক খাশোগিকে।

তুরস্কের ধারণা, সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের সমালোচক এ সাংবাদিককে সৌদি গুপ্তচররাই খুন করেছে। তবে সৌদি আরব এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

খাশোগি নিখোঁজের রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে এরই মধ্যে তল্লাশি হয়েছে। আরও ব্যাপক পরিসরে তল্লাশির উদ্যোগ নিচ্ছে তুরস্ক। এর আওতায় তারা সৌদি কনসালের ইস্তানবুলের বাসভবনেও তল্লাশি চালাবে।

সৌদি আরব সোমবার ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। খাশোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে হত্যা করার কথা স্বীকার করার বিষয়টি সৌদি আরব বিবেচনা করছে, এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোতে।

পরিস্থিতিতেই সৌদি আরবে বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, পম্পেও খাশোগির ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেয়ার জন্য বাদশাহ সালমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ওদিকে খাশোগির পরিবার তার অন্তর্ধানের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন গঠনের আবেদন জানিয়েছে। পম্পেওর সঙ্গে বৈঠকে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও খাশোগির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন।

খাশোগির বিষয়টি নিয়ে এর আগে সৌদি বাদশাহর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক ফোনালাপের পর পম্পেওকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। এ সফরের পর তুরস্কে যাবেন তিনি।

ট্রাম্প এর আগে এক টুইটে বলেছিলেন- বাদশাহ সালমানের সঙ্গে তার কথা হয়েছে এবং বাদশাহ খাশোগির ব্যাপারে কিছু জানা থাকার কথা জোরালভাবে অস্বীকার করেছেন। তার কথা শুনে মনে হয়েছে, এ ঘটনায় দুর্বৃত্ত খুনিরা জড়িত থাকতে পারে।

তবে এর কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে বাদশাহর কাছ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানাটাও ছিল পম্পেওর সৌদি আরব সফরের উদ্দেশ্য।

Bootstrap Image Preview