Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মেসির পা থেকে রক্ত ঝরছে , সেই ছবি দেখে আপ্লুত নেট দুনিয়া

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২১, ০৪:১৩ PM
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২১, ০৪:১৩ PM

bdmorning Image Preview


ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে একরাশ রোমাঞ্চ ছড়ানো টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে কলম্বিয়াকে হারাল আর্জেন্টিনা।

আগামী ১১ জুলাই রিও ডি জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে লিওনেল স্কালোনির দল।

ফাইনালে ওঠার আনন্দে আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক এতটাই আপ্লুত যে, ৪৫ দিন পরিবারকে না দেখার বেদনাই ভুলে গেছেন।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মেসির আহত পায়ের ছবি।

ছবিতে দেখা গেছে— মেসির বুটের ওপর পায়ের গিট ফেঁটে রক্ত ঝরছে, যা এংলেট চুইয়ে গোল বৃত্তাকার জমাট হয়ে গেছে।

অন্য আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, মাঠে পায়ের ওই ক্ষত নিয়ে কাঁতরাচ্ছেন মেসি। কষ্টে তার কান্না বেরিয়ে আসছে প্রায়।

ছবিগুলো কোপা আমেরিকার টুইটার হ্যান্ডেলে প্রথম শেয়ার করা হয়। এর পর তা টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।

ছবিগুলো পোস্ট করে অনেক মেসিভক্ত লিখেছেন— ইনি নাকি ক্লাবের জন্যই বেশি খেলেন। দেশের খেলায় অত পরিশ্রমী না। তবে এ ছবি কি মিথ্যা? এ ছবি কি বার্তা দিচ্ছে?

মূলত কলম্বিয়ার পেশিশক্তির ম্যাচে এভাবেই ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন মেসি। তবু শেষ অবধি খেলাকে টেনে নিয়ে গেছেন।

কেউ কেউ বলছেন— এটাকেই বলে দেশের প্রতি আবেগের বহিঃপ্রকাশ। দেশের ফুটবলকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যাওয়া অদম্য চেষ্টার প্রতিচ্ছবি।

মেসিভক্তদের অনেকেই বলছেন— ফাইনালের ওঠার লক্ষ্যে অন্য কিছুর দিকেই খেয়াল নেই মেসির। এ ছবি দিয়ে কি  ক্লাব ফুটবল নিয়ে মেসির ওপর দেওয়া অপবাদটা ঘুচবে না?  

মেসির এই আহত হওয়ার ঘটনাটি ম্যাচের ৫৪ মিনিটে। প্রতিপক্ষের ফ্রাঙ্ক ফাবরার মারাত্মক ফাউলে লুটিয়ে পড়েন মেসি। এর আগেও প্রতিপক্ষের বাজে ট্যাকেলের শিকার হতে হয়েছেন। তবে এবার যেন আরেকটু মারাত্মক, ভয়ে কেঁপে উঠেন ভক্তরা। আর্জেন্টাইন যাদুকর কি ফিরতে পারবেন মাঠে?

তিনি ঠিকই ফিরলেন। এই পা নিয়েই খেললেন বাকি ৩০টা মিনিট। টাইব্রেকারে গোলও করলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের পর থেকে আর ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়নি আর্জেন্টিনা। সেবার দলে লিওনেল মেসি ছিলেন। কিন্তু গো হারা হেরেছিলেন। রিকেলমের সঙ্গী হয়েও সেবার মেসির আর্জেন্টিনা হেরেছিল ৩-০ গোলে।

আর কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের শেষ দেখা ১৯৯১ সালে পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচে অবশ্য সেলেকাওদের হারিয়েছিলেন আলবিসেলেস্তেরা। তবে সেই সময় ঘরের বারান্দায় হাঁটি হাঁটি পা পা করছিলেন মেসি।

সেবার আর্জেন্টিনার কাণ্ডারি ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ৩-২ গোলে ব্রাজিল পরাজিত করেছিলেন কোপার মঞ্চে।

১৪ বছর পর সুযোগ এসেছে মেসির সামনে। কোপায় ম্যারাডোনাকে ছোঁয়ার। সে কথা খুব ভালোই জানা আর্জেন্টাইন খুদেরাজের।

নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন মেসি। এ পর্যন্ত হয়ে যাওয়া ছয় ম্যাচে চারবারই ম্যাচসেরা তিনি। ৫ অ্যাসিস্ট ও ৪ গোলে কোপার ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছেন। গোল্ডেন বুটের প্রথম দাবিদার তিনিই।

তাই তো বার্সার সঙ্গে চুক্তির নবায়ন, লা লিগা সব ভুলে রক্তাক্ত হয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে লিওনেল মেসি।

Bootstrap Image Preview