নিজ দলের বিপুল জয়ের দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পরাজিত হচ্ছেন, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রোববার সকাল থেকে।
নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম কয়েক রাউন্ডের ভোট গণনা শেষে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে পরাজয়ের শঙ্কায় ফেলেছেন একসময়ে তারই প্রধান অনুগামী বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তবে এখনও বেশ কয়েক রাউন্ড ভোট গণনা বাকি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে হারতে পারেন, এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে আলোচনাটা শুরু হয়েছে, তা হলো পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে এই প্রশ্নে কোনো দ্বিধা বা দ্বন্দ্ব নেই।
তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। নির্বাচনে হেরে গেলেও মমতার মুখ্যমন্ত্রী হতে কোনো সাংবিধানিক বাধা নেই।
নিয়ম হচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলের নবনির্বাচিত বিধায়কেরা তাদের পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত করবেন। সেই পরিষদীয় নেতা বিধায়ক না হলেও কোনো অসুবিধা নেই।
তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেয়ার ছয় মাসের মধ্যে তাকে কোনো একটি বিধানসভা কেন্দ্র বা বিধানপরিষদ থেকে নির্বাচিত হতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে বিধানপরিষদ ব্যবস্থা নেই। এখানে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।