Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাড়ির ছাদে কঙ্কাল ,ছেলেকে খুনের অভিযোগে মা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫৭ PM
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


কয়েক মাস ধরে বড় ছেলে নিখোঁজ জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যবসায়ী। তার সন্দেহ, মায়ের হাতেই খুন হয়েছেন তার ছেলে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই নারীর বাড়ি অভিযান চালায় পুলিশ। খুঁজতে খুঁজতে পাওয়া যায় পচা-গলা একটি মরদেহ। আবার জিজ্ঞাসাবাদেও অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলেছেন অভিযুক্ত স্ত্রী। ফলে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে ও তার ছোট ছেলেকে।সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের সল্টলেকে। পুলিশের ধারণা, ছাদে পাওয়া কঙ্কালটি ব্যবসায়ীর বড় ছেলের এবং পরিবারের কোনও সদস্যই তাকে হত্যা করেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে অনিল মাহেনসরিয়া নামে সল্টলেকের এক ব্যবসায়ী বিধাননগর (পূর্ব) থানায় তার বড় ছেলে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন। তার দাবি, স্ত্রী গীতা মাহেনসরিয়াই তাদের ছেলে অর্জুন মাহেনসারিয়াকে হত্যা বা গুম করেছেন।পুলিশের কাছে অনিল জানিয়েছেন, দাম্পত্য কলহের কারণে সম্প্রতি তারা আলাদা হয়ে গেছেন। বড় ছেলে অর্জুন (২৫), আরেক ছেলে বিদুর (২২) এবং মেয়ে বৈদেহীকে (২০) নিয়ে সল্টলেকের বাড়িতে থাকতেন গীতা।

অনিলের দাবি, গত ২৯ অক্টোবর তিনি জানতে পারেন, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে রাঁচীতে নিজের বাবার বাড়ি চলে গেছেন তার স্ত্রী। কিন্তু পরে খোঁজ নিলে জানা যায়, বিদুর ও বৈদেহী মায়ের সঙ্গে থাকলেও সেখানে অর্জুন নেই। অথচ গীতা ফোনে জানিয়েছিলেন, বড় ছেলেও তার সঙ্গে রয়েছে।এ ঘটনায় স্ত্রীর ওপর সন্দেহ হয় অনিলের। কোথাও অর্জুনের খোঁজ না পেয়ে অবশেষে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
অনিলের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। গীতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। তবে বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় তাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় ওই দম্পতির ছোট ছেলে বিদুরকেও।গীতাকে গ্রেফতারে পরেই বৃহস্পতিবার বিকেলে সল্টলেকের এ জে ব্লকের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাস দুয়েক ধরে তালাবন্ধ রয়েছে বাড়িটি। সেখানে কাউকে যাতায়াত করতে দেখা যায়নি।

তল্লাশির সময় ওই বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে কঙ্কাল বের হয়ে যাওয়া এক পূর্ণবয়স্ক মানুষের পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একটি বিছানার চাদরে মোড়ানো ছিল সেটি।তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কঙ্কালটি কার বা সেটি কতদিনের পুরনো, তা ফরেনসিক পরীক্ষার পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমকিভাবে সেটি অর্জুনের বলেই মনে করা হচ্ছে।এক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ জানান, বাড়ির একতলার একটি ঘরে পোড়া দাগ দেখা গেছে। ঘরে যজ্ঞ করলে যে ধরনের পোড়া দাগ তৈরি হয়, ওই দাগটি প্রায় একই ধরনের।পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় গীতাসহ পরিবারের বাকি সদস্যদের কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই দম্পতির মধ্যে কেন ঝামেলা হয়েছিল, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

 

Bootstrap Image Preview