Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিসিএল খেলবেন না টেস্ট স্কোয়াডের ১০ জন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৩:৩৫ PM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৩:৩৫ PM

bdmorning Image Preview


কি আশ্চর্য! দুই সপ্তাহ পুরো হয়নি এখনও, দশ-বারো দিন আগের কথা। এরই মধ্যে ভোজবাজির মত বদলে গেল দৃশ্যপট। পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগে, নিজেকে প্রমাণের জন্য কিংবা সামর্থ্য মেলে ধরার তাগিদ বা নির্বাচকদের নজর কাড়তেই হোক- জাতীয় টেস্ট দলের সম্ভাব্য সব পারফরমারই খেলেছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের আসর বিসিএলে।

তামিম ইকবাল অনবদ্য ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। শতরান এসেছিল মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর লিটন দাসের ব্যাট থেকেও। সাইফ হাসান, মোহাম্মদ মিঠুনও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তান সফরে যাওয়ার ঠিক আগের পর্বে।

কিন্তু পাকিস্তানে গিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে নাস্তানাবুদ হওয়ার পরই আবার বিসিএল না খেলার দল ভারী হয়েছে। পাকিস্তান যাওয়ার আগের মত সবাই তো প্রশ্নই আসে না, জানা গেছে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের স্কোয়াডে থাকা ১৪ জনের ১০ জনই খেলবেন না আগামীকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি) শুরু হতে যাওয়া বিসিএলের পরবর্তী রাউন্ডে।

শেরে বাংলার বাতাসে ভাসা গুজব বা গুঞ্জন নয়, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদন নান্নুর দেয়া তথ্য। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে নান্নু জানান, তাকে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো পাকিস্তান থেকেই জানিয়েছেন ১০ জনকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে সৌম্য সরকার বিয়ের কারণে ছুটিতে থাকবেন আর ডানহাতি পেসার আল আমিনের পিঠে ব্যাথা। এছাড়া আরও ৮ জন খেলতে পারবেন না বিসিএলের এই রাউন্ডে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ তারকাদের বড় অংশ, বেশিরভাগ নামী ক্রিকেটার বিসিএল বা জাতীয় লিগে খেলেন খুব কম। নানা সময় ফিটনেস সমস্যা, ইনজুরি আর ব্যক্তিগত-পারিবারিক কারণে ছুটি নিয়ে না খেলে বাইরে কাটান। এতে করে তাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট চর্চা হয় কম।

যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলতে নামার সময়। কিন্তু বোর্ড আর টিম ম্যানেজমেন্ট খেকে কখনওই এ বিষয়ে কোনো কড়া সিদ্ধান্ত আরোপ করা হয় না। বার বার বলা হয়, সব জাতীয় ক্রিকেটারকে জাতীয় লিগ (এনসিএল) আর বিসিএল খেলতে হবে বাধ্যতামূলক ভাবে। কিন্তু কয়েকদিন যেতেই সেই কড়াকড়ি ভাব শিথিল হয়ে যায়।

যেমন এবার হলো। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। তার আগে ১৪ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি অনায়াসে বিসিএল খেলতে পারতেন সবাই। তারপরও টেস্ট শুরুর আগে মিলতো ৪ দিন। তার দুদিন পূর্ণ বিশ্রামে থেকে, দুদিন জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করে নেমে পড়া যেত টেস্টে।

কিন্তু এবার বোধ হয় কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোও অবস্থান থেকে সরে, ম্যাচ খেলা বাদি দিয়ে ৪-৫ দিনের ছোট্ট অনুশীলন ক্যাম্পেই ক্রিকেটারদের চাচ্ছেন বেশি করে।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের দল ঘোষণা। আর ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হবে অনুশীলন। তবে সেই অনুশীলনে শুধু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দল অংশ নিবে? নাকি ওয়ানডে স্কোয়াডও একই সাথে ঘোষণা হবে?- তা এখনও চূড়ান্ত নয়।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ব্যাখ্যা, আমরা এখন প্রাথমিকভাবে টেস্ট আর ওয়ানডে দল এক সঙ্গে ঘোষণা করবো নাকি প্রাথমিক ক্যাম্পে টেস্ট আর ওয়ানডের জন্য একত্রে ২০-২২ জনকে ডাকা হবে নাকি টেস্টের আগে টেস্ট দল আর টেস্ট শেষে ওয়ানডে স্কোয়াড চূড়ান্ত করবো?- তা এখনও ঠিক করা হয়নি। আজ দুপুরের পর টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে ঠিক করবো, আসলে কী করা যায়?

Bootstrap Image Preview