Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মমতার সমর্থন চান মোদী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:১৪ AM
আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:১৪ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ভারতে জাতীয় নাগরিকত্ব বিল সংশোধনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গতকাল শনিবার পশ্চিমবঙ্গে দুটি জনসভায় তিনি এ সমর্থন প্রার্থনা করেন।

মোদির প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয় উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে। সেখানে সারা ভারত মতুয়াসঙ্ঘের সম্মেলনের সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে তিনি উপস্থিত জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন কেন প্রয়োজন।একই সঙ্গে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আবেদন করেন বিলে সমর্থন দেয়ার জন্য।

এদিন সভা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। হাই সিকিউরিটি জোনে ঢুকে পড়ে কিছু মানুষ। হুড়োহুড়িতে জখম হন বেশ কয়েকজন। এনিয়ে বিশৃঙ্খলার জেরে মহিলা ও শিশুদের অসুবিধার জন্য পরে দুর্গাপুরের দ্বিতীয় সভা মঞ্চ থেকে ক্ষমা চান নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে নরেন্দ্র মোদির জনসভার পর প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, মোদি বাঙালি বিদ্বেষী। তিনি আসাম থেকে বাঙালিদের তাড়াচ্ছেন। উনি একটা দানবীয় প্রধানমন্ত্রী। সব গিলে খাচ্ছেন এক এক করে। উনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন, গোরক্ষা করার যোগ্য।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে দিল্লি সামলান, তার পর এ রাজ্যের কথা ভাববেন। বাংলা পথ দেখাচ্ছে বলেই ওর এত রাগ। বাংলা থেকে তৃণমূল উচ্ছেদ অনেক দূরের ব্যাপার, দিল্লি থেকে বিজেপির উচ্ছেদের ব্যবস্থা যে শুরু হয়ে গেছে। মমতা বলেন, বিজেপি একটা দাঙ্গাবাজের দল। ওদের চোখে-মুখে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। এদের দেখে লজ্জা হয়। ঘৃণা হয়। মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই।

মোদিকে দুর্নীতির ঠাকুরদাদা বলেও মন্তব্য করে মমতা বলেন, সিবিআই দিয়ে বার বার ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু সারদা-নারদা নিয়ে যে কিছু প্রমাণ করতে পারবেন না। তাকে তাড়ানোই আমাদের প্রথম কাজ। ২০২১ সালে আমরা হারব কি না তা উনি বলার কে? সব ঠিক করবে সাধারণ মানুষ।

জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিল আমার ভাইবোনদের অধিকার রক্ষার জন্য। এই বিল দেশকে টুকরো টুকরো হতে দেবে না। স্বাধীনতার পর ভারতের মানুষ ভেবেছিল, যেখানে আছে শান্তিতে থাকবে। কিন্তু সেখানে তাদের হিংসার শিকার হতে হচ্ছে। তাদের জন্যই বিল সংশোধন। দেশভাগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশভাগের পর যারা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে থেকে গিয়েছিল, অত্যাচারের কারণে তাদের পালিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়েছিল। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত হিন্দু, শিখসহ সেদেশের সংখ্যালঘুরা এসেছে, তাদের এদেশে থাকার অধিকার থাকা উচিত।

উল্লেখ্য, লোকসভায় মোদি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও ভারতের রাজ্যসভায় এখনও সংখ্যালঘু এনডিএ। ফলে লোকসভায় পাস করাতে পারলেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদের উচ্চকক্ষে বিলটি এখনও আটকে রয়েছে। মতুয়া সমপ্রদায়ের মানুষ উদ্বাস্তু। তারা এখনও ভারতের নাগরিকত্ব পাননি।

Bootstrap Image Preview