Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বন্ধুকে খুন করে রক্ত পান, এক দশক পর গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:৪৪ PM
আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


স্কুলে পড়ার সময় সহপাঠীকে হত্যা করে তার রক্ত পান করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তার এক দশক পর ভুয়া ডাক্তার হিসেবে গ্রেফতার হলেন রাশিয়ার নাগরিক বরিস কোন্ড্রাশিন।

৩৬ বছর বয়সী কোন্ড্রাশিন চেলিয়াবিনসক শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। গত বছরের নভেম্বরে চাকরি পেতে ভুয়া ডিগ্রি সার্টিফিকেট ব্যবহার করার অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হন।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২০০০ সালে ‘বিশেষ গুরুতর অপরাধ' করার দোষে কোন্ড্রাশিনকে বাধ্যতামূলক মানসিক চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরেও তিনি ডাক্তার হিসেবে কাজ করতে সক্ষম হন কীভাবে সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ১৯৯৮ সালে কিশোর বয়সে নিজের স্কুলের সহপাঠীকে হত্যা করে টুকরো করেন। একটি ধর্মীয় প্রথা মেনে নাকি বন্ধুকে মেরে, তার রক্ত পান করেছিলেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এসেছে, রবি নিজেকে ‘ভ্যাম্পায়ার' মনে করেন।

২০০০ সালের আগস্ট মাসে কোন্ড্রাশিনের মানসিক রোগ হোমিসাইডাল স্কিজোফ্রেনিয়া ধরা পড়লে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি কী করছেন, কী ভাবছেন এসব বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন একেবারেই। রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, প্রায় এক দশক পরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শহরের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান নাতালিয়া গার্লোভা জানান, মেডিকেল প্রতিরোধ বিভাগে চেলিয়াবিনসক শহরের ১১ নম্বর হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসক হিসেবে কোন্ড্রাশিনকে নিয়োগ করা হয়। এই হাসপাতালে তার কাজ ছিল মানুষকে মদ খাওয়া বা ধূমপান করার সমস্যা নিয়ে বোঝানো এবং ব্যায়ামের সুবিধা বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করা।

ইন্টারফ্যাকস নিউজ এজেন্সি জানায়, তাকে জানুয়ারিতেই আটক করা হয়েছিল। গর্লোভা জানান, হাসপাতাল কোন্ড্রাশিনের ডিগ্রি সার্টিফিকেট পরীক্ষা করার পরেই তাকে বরখাস্ত করে। একটি মেডিকেল আলোচনার ফোরামে গতকাল শুক্রবার সাদা কোট পরে হাসিমুখে কোন্ড্রাশিনের ছবি পোস্ট করা হয়েছে।

কোন্ড্রাশিনের বোন জানান, তিনি বা তার মা জানতেন না যে ভাই চাকরি পেয়েছেন। কোন্ড্রাশিন কেবল উচ্চ বিদ্যালয় পাস করেছিলেন। তিনি জানান, জনসাধারণকে বিপদে ফেলার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই জেনেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তবে এখনও তাকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই রাখা উচিত ছিল।

Bootstrap Image Preview