নতুন বছরের শুরুটা একদমই ভালো হলো না দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-৩ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর এবার গুনতে হলো বড় শাস্তিও।
সেঞ্চুরিয়নে ১০৭ রানের জয়ে সিরিজের শুরুটা দারুণভাবেই করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে কেপটাউনে ১৮৯ রান আর পোর্ট এলিজাবেথে ইনিংস ও ৫৩ রানের পরাজয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। আর সবশেষ জোহানেসবার্গেও তারা হেরেছে ১৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে।
তবু সিরিজের প্রথম ম্যাচটি জেতায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্টের খাতাটা খুলতে পেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, তাদের নামের পাশে যোগ হয়েছিল ৩০ পয়েন্ট। কিন্তু জোহানেসবার্গ টেস্টের পর এই ৩০ থেকেও কেটে রাখা হয় ৬ পয়েন্ট, একইসঙ্গে দলের সবাইকে করা হয়েছে ম্যাচ ফি’র ৬০ শতাংশ জরিমানা।
জোহানেসবার্গে স্লো ওভার রেটের কারণে এ শাস্তি পেতে হয়েছে ফাফ ডু প্লেসির দলকে। যার ফলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম দল হিসেবে শাস্তির মুখোমুখি হলো কোনো দল।
একমাত্র স্পিনার কেশভ মহারাজকে দল থেকে বাদ দেয়ার ফলে জোহানেসবার্গে পেসারদেরই করতে হয়েছে সব ওভার। যে কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩ ওভার পিছিয়ে ছিল প্রোটিয়ারা। আর এ কারণেই পেতে হয়েছে শাস্তি।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রণয়নকৃত আইনের ২.২২ এর আর্টিকে উল্লেখ করা আছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো দল যদি নির্দিষ্ট সংখ্যক ওভার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে প্রতি ওভারের জন্য ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ জরিমানা করা হবে। একইসঙ্গে প্রতি ওভারের জন্য কেটে নেয়া হবে ২টি করে পয়েন্ট।
সিরিজের শেষ টেস্টে করা এই অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। যে কারণে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৭ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সাত দলের মধ্যে নয় নম্বরে অবস্থান করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।