কোন তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখে পড়েননি। তবে ২০০৮ সালে পাকিস্তানে ওয়ানডে সিরিজ আর একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে গিয়ে মানসিক উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় কাটিয়েছিলেন আফতাব আহমেদ। কারণ, ওই সফরে তার সাথে ছিলেন তার নব বিবাহিতা স্ত্রীও।
মাত্র কয়েক মাস আগে (২০০৭ সালের শেষ দিকে) বিয়ে করেছিলেন আফতাব আহমেদ। এর চার-পাঁচ মাস পরে একটা বিদেশ সফর, ভেবেছিলেন খেলা আর মধুচন্দ্রিমা দুই’ই সারা হবে; কিন্তু জানতেন না পাকিস্তানের সত্যিকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা কি? পাকিস্তান গিয়ে রীতিমত বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন।
কেমন বিড়ম্বনা সেটা আফতাবের মুখ থেকেই শোনা যাক, ‘আসলে ওই ট্যুরে আমি আমার ফ্যামিলি নিয়ে গিয়েছিলাম। ওই সফরের অল্প কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছিলাম। তাই নববধুকে নিয়ে যাওয়া; কিন্তু গিয়ে দেখি টাইট সিকিউরিটি। একদম নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা সর্বত্র। এয়ারপোর্ট থেকে শুরু। টিম হোটেল, রাস্তায় যাতায়াতে, মাঠে- সর্বত্রই নিরাপত্তা রক্ষীতে ঠাসা।’
কোথাও ক্রিকেটারদের যাওয়ার সুযোগ ছিল না। আফতাব বলেন, ‘একা বা দলবেঁধে কোথাও যাওয়া মানেই নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে সাথে যাওয়া। সর্বক্ষণ আধুনিক অস্ত্র হাতে নিরাপত্তারক্ষী আপনার পাশে। কেমন একটা অস্বস্তি। এরকম অবস্থায় স্ত্রী নিয়ে কোথাও ঘোরাঘুরির সুযোগও ছিল না। তাই সেভাবে কোথাও একটু ফ্রি হয়ে ঘুরবো- সেই সুযোগটাই পাইনি। এমনিতে কোন ধরনের তিক্ততার সন্মুখিন হইনি। তবে প্রতি পদে পদে ছিল নিরাপত্তা কর্মীদের বাধা। এখানে যাওয়া যাবে না, ওখানে যাওয়া যাবে না। হোটেলের বাইরে কোথাও ঘোরার স্বাধীনতাও ছিল না তেমন।’
মোটকথা, ‘একটা সফরে ক্রিকেটার ও কোচদের যেমন স্বচ্ছন্দ বিচরণ থাকে, সেটাই ছিল না। একটা চাপ ভয় তখনো কাজ করতো। আর তার সাথে সর্বক্ষণ নিরাপত্তার কড়া বেস্টনির ভিতরে থাকা। মোটেই স্বস্তিদায়ক ছিল না।’