বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সঙ্গে একসময় বন্ধুত্ব ছিল সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। হোয়াটস অ্যাপে দু’জনে মেসেজ দেওয়া নেওয়া করতেন। অভিযোগ তখনই জেফ বেজোসের ফোনে একটি এনক্রিপ্টেড ভিডিও মেসেজ পাঠিয়েছিলেন যুবরাজ। তার কয়েকঘণ্টার মধ্যে বেজোসের মোবাইলে জমা রাখা গোপন তথ্য যুবরাজের হাতে এসে যায়। সেই তথ্য দিয়ে জেফ বেজোসকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
জেফ বেজোসের ফোনে ওই এনক্রিপ্টেড ভিডিও মেসেজ পাঠানো হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসের ১ তারিখ। গতবছর মার্চ মাসে জেফ বেজোসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা গাভিন ডি বেকার জানান, জোজেসের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। তার ব্যক্তিগত অনেক তথ্য চলে গিয়েছে সৌদি সরকারের কাছে।
গতবছর জানুয়ারি মাসে ন্যাশনাল এনকোয়ারার নামে এক ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত হয়, জেফ বেজোসের সঙ্গে এক প্রাক্তন টেলিভিশন অ্যাঙ্কারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। সেই নারীর নাম লরেন স্যানচেজ। গাভিন ডি বেকারের মতে, জেফ বেজোসের টেক্সট মেসেজ লিক হয়ে গিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই ট্যাবলয়েডটি ওই খবর ছাপে।
২০১৯ সালে জেফ বেজোস অভিযোগ করেন, ওই ট্যাবলয়েডটি তাকে ব্ল্যাকমেল করতে চাইছে। তিনি স্যানচেজকে কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবি পাঠিয়েছিলেন। ট্যাবলয়েডটি ভয় দেখাচ্ছে, সেই ছবি ফাঁস করে দেবে। ডি বেকার এক ওয়েব সাইটে লিখেছেন, ন্যাশনাল এনকোয়ারারের মালিক আমেরিকান মিডিয়া ইনকর্পোরেটেড তাকে অনুরোধ করেছিল, তিনি যে জেফ বেজোসের ফোনে আড়ি পাতার প্রমাণ পেয়েছেন, সেকথা যেন প্রকাশ না করেন। তবে গার্ডিয়ানের গতকালের খবরে মন্তব্য করতে রাজি হননি গেভিন ডে বেকার।