Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন : সুপ্রিম কোর্টে ১৪৪ মামলার শুনানি আজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০২০, ১০:১১ AM
আপডেট: ২২ জানুয়ারী ২০২০, ১০:১১ AM

bdmorning Image Preview


বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে চরম উত্তেজনা চলছে ভারতে। এদিকে, আজ বুধবার সিএএ সংক্রান্ত মোট ১৪৪টি মামলা ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে উঠতে চলেছে। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি এস আবদুল নাজির ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আবেদনগুলির শুনানি হবে। এই শুনানি একদিনেই হবে। মামলারগুলির মধ্যে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দায়ের করা মামলাও রয়েছে। 

জানা গেছে, রাজধানী নয়াদিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিএএ নিয়ে এই আবেদনগুলি জমা পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আবদনকারীরা সিএএ'র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।

২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শুনানির জন্য প্রথমবার আবেদন জমা পড়ে। তার পরেই সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ দিয়ে কেন্দ্রকে অবগত করে। অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপালের কাছেও সুপ্রিম নোটিশ যায়। সেসময় সিএএ'র বিরোধিতায় ৬০টি পিটিশন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে।

তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র সিএএ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা একইসঙ্গে শুনানির জন্য হাইকোর্টগুলি থেকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরের আর্জি জানায়।

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর সংসদে সংশোধিত নাগরিক আইন পাশ হয়। বিলে বলা হয়েছে, ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি, ও খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, এই বিল একেবারেই মুসলিম বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরোধী নয়। তাঁর দাবি ভারতের মুসলমানদের উপর এই বিলের কোনও প্রভাবই পড়বে না। তাঁরা যেমন ভারতের নাগরিক আছেন, তেমনই থাকবেন। তবে বহিরাগত মুসলিমদের জন্য ভারতের দরজা খোলা হবে না। নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্তারোপও করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর আগে ভারতে আসতে হবে।

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে নাগরিকত্ব অর্জন বা অস্বীকার করার জন্য ধর্ম কারণ হতে পারে না। এই নাগরিকত্ব আইনটি সর্বাত্মক অসাংবিধানিক। 

আইইউএমএল এর বক্তব্য, সিএএতে সাম্যের অধিকার, মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে, ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধ অভিবাসীদের একটি অংশকে নাগরিকত্ব প্রদান করার ইচ্ছা পোষণ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview