Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইউক্রেনের বিমানটিতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:৩৪ PM
আপডেট: ০৯ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:৩৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই ইরানের সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করছে কিয়েভ। তবে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ১৭৬ যাত্রীবাহী বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ার আগেই আগুন ধরেছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

বিমানটি বিধ্বস্তের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য চারটি কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও সন্ত্রাসবাদের সম্ভাব্যতা রয়েছে বলে দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুধবার তদন্তকারীরা ইরানের সামরিক বাহিনী দ্বারা ব্যবহৃত রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহের জন্য তেহরানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে দুর্ঘটনার স্থানটি অনুসন্ধান করতে চেয়েছিল। ওই সময়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদনে ইরানের বেসামরিক বিমান সংস্থা বলেছিল, বিমানটি অজ্ঞাত প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়েছিল।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানটির ব্ল্যাক বক্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কিংবা যুক্তরাষ্ট্রকে না দেয়ার কথা জানিয়েছে ইরান। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক বিমান বিধিমালার অনুযায়ী এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে।

ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার প্রধান প্রধান আলী আবেদজাদেহ বলেন, আমরা ব্ল্যাক বক্সটি বিমানটির প্রস্ততকারক সংস্থা বোয়িং অথবা যুক্তরাষ্ট্রকে দেব না।

তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনাটি ইরানের বিমান সংস্থা তদন্ত করবে তবে ইউক্রেন চাইলে উপস্থিত থাকতে পারে।আবেদজাদেহ বলেন, এটি এখনও পরিষ্কার নয় যে কোন দেশ বিমানের ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণ করবে।

ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ মডেলের বিমানটি তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানটির ১৭৬ যাত্রীর সবাই নিহত হন। বিমানটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে যাচ্ছিল।ইরনি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলা হয়, বিমানটি শূন্যে থাকা অবস্থায় আগুন ধরেছিল।

Bootstrap Image Preview