Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান সাবেক ফুটবলাররা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৫৭ PM
আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


প্রত্যেক নির্বাচনে একই চিত্র। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন এলেই জুজুর ভয় দেখানো শুরু হয়। ম্যাজিকেল চেয়ারে বসতে নাম ভাঙানো হয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর। এবারও সেই একই শঙ্কা ভাসছে নির্বাচনী হাওয়ায়। আর তাই আসন্ন নির্বাচন যেন স্বচ্ছ হয় সেজন্য শনিবার সাবেক জাতীয় ফুটবলাররা এক হয়েছিলেন রাজধানীর একটি হোটেলে।

সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি ও সাবেক তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু বলেন, ‘ফুটবলকে বাঁচাতে হলে কাজী সালাউদ্দিনকে সরাতে হবে। কারণ এ ব্যক্তির হাতে দেশের ফুটবল নিরাপদ নয়। সেটা আমরা যদি এখনও না বুঝি, তাহলে আমাদেরও ক্ষমা করবে না জাতি। ক্ষমা করবে না পরবর্তী প্রজন্ম।’ কাজী সালাউদ্দিন শেখ কামালের বন্ধুত্বের দাবিতে অনেক কিছুই করে থাকেন। প্রায়শই সালাউদ্দিন ১৯৭৫ সালে মারদেকা কাপের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘ওই টুর্নামেন্টে খেলার সময় শেখ কামাল বলেছিলেন, তুই যতদিন খেলবি বাংলাদেশের অধিনায়ক থাকবি। আর আমি ম্যানেজার থাকব।’ সালাউদ্দিনের এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গে বাবলুর বক্তব্য, ‘ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেললেও আমি শেখ কামালকে চিনি এবং জানি। উনার সঙ্গে আমার যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি এমন কথা বলার লোক ছিলেন না।

যিনি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন চালাতেন উনি কিনা বাংলাদেশের ম্যানেজার থাকবেন আজীবন এটা উনার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’ হাসানুজ্জামান খান বাবলু যোগ করেন, ‘ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের চেয়ে বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেশি ক্ষমতাবান। এ ক্ষমতা দিয়েছেন সালাউদ্দিন।’ সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদ বলেন, ‘ফুটবল এখন যে পর্যায়ে গেছে, সেখান থেকে বাঁচাতে হলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া ফুটবলে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আমরা সাবেক ফুটবলাররা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। উনার কাছে গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে চাই। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই ফুটবল বাঁচানোর একটি পথ বাতলে দেবেন।’

প্রধানমন্ত্রীর ক্রীড়া প্রেমের উদাহরণ দিতে গিয়ে কায়সার বলেন, ‘তিনি সম্প্রতি আমাকে দেখে বলেছিলেন, ‘তোমার মা কেমন আছে? নিয়ে এসো একদিন। মোহামেডান ক্লাবকে ঠিক করতে হবে। পুরো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও উনি একটি ক্লাবের খোঁজ এখনও রাখেন।’ ঢাকা আবাহনীতে আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নুর পাসে সালাউদ্দিন অধিকাংশ গোল করেছেন। সেই চুন্নুও বর্তমানে সালাউদ্দিনের আচরণে রুষ্ট। চুন্নুর কথা, ‘তার (সালাউদ্দিন) ধারণা, তিনি ছাড়া আর কেউ ফুটবল খেলেনি। তিনিই একমাত্র খেলেছেন। তিনিই তারকা। সর্বোচ্চ পদই সব সময় তার প্রয়োজন।

এখন নির্বাচনের আগে আবার গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে চান তার সুবিধার জন্য।’ আরও বক্তব্য রাখেন- আবদুল গাফফার, ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টু, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, মোহামেডানের কর্মকর্তা মোস্তাকুর রহমান, সাবেক তারকা ফুটবলার ইমতিয়াজ সুলতান জনি, শেখ মো. আসলাম, সাব্বির, কানন, নকিব, মহিদুর রহমান মিরাজ ও হিরো। সবার কথার মূল সারমর্ম হল- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তারা দেখা করতে চান এবং ফুটবলে সঠিক নেতৃত্ব নির্ধারণের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন চান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সংগঠক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স।

Bootstrap Image Preview