Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া সেই প্রাথমিক ছাত্রীর লাশের রহস্য উন্মোচন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:০৪ PM
আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:০৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পশ্চিম কুট্টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জয়নব আক্তারকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নির্যাতন ও হত্যা করেন গ্রামের মিয়া ওরফে কানাই মিয়া (৫০) মুদি দোকানদার। নিহত জয়নব পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের আবদুল হাফিজের মেয়ে।

জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যার পর জয়নব প্রতিবেশী এক স্বজনের বাড়িতে যায়। ঘটনার সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। পরে জয়নব আর বাড়িতে ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও স্বজনেরা তার সন্ধান পাননি। পরদিন বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি বাঁশঝাড় থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, নিখোঁজের পরদিন বাঁশবাগানে পাওয়া যায় ওই শিশুর লাশ, সঙ্গে নির্যাতনের আলামত। নির্যাতন ও হত্যার এই ঘটনায় কোনো সূত্রই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে এই ঘটনার জট খুলেছে লাশের পাশে পড়ে থাকা চকলেটে। পরে গ্রামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়েই ওই ব্যক্তি শিশুটির সর্বনাশ করেন। পরে ধরা পড়ার ভয়ে তাকে হত্যা করে গা–ঢাকা দেন গ্রামের মিয়া ওরফে কানাই মিয়া।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন জানান, ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে, নিহতের স্বজনরা কাউকে সন্দেহ করতে পারছিল না। কারও সঙ্গে পরিবারটির কোনো বিরোধ নেই। ফলে জয়নবের মা ফেরদৌসী বেগম (৩৮) বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামির নামে সরাইল থানায় মামলা করেন। মামলায় জয়নবকে অপহরণ করে জোরপূর্বক নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ করা হয়।

তিনি আরও জানান, এমন বেশ কয়েকটি বিষয়ের কারণে মোবারকের প্রতি পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। ঘটনার পর থেকে মুদিদোকানি মোবারক মিয়া এলাকায় নেই। পুলিশ জানতে পারে, মোবারক ইতিমধ্যে পাঁচটি বিয়ে করেছেন। তবে চারিত্রিক সমস্যার কারণে কোনো বিয়েই বেশিদিন টেকেনি। বর্তমানে তার ঘরে কোনো স্ত্রী-সন্তান নেই। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বড়ইবাড়ি গ্রামের রাস্তা থেকে তাকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। মোবারককে শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জয়নবের বাবা আবদুল হাফিজ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা মোবারকের ফাঁসি চাই। এভাবে আর কারও বুক খালি হোক, আমরা চাই না।’

 

Bootstrap Image Preview