নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড মুসলমান অভিবাসনের পরিণতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার একজন উগ্রডানপন্থী সিনেটর। তবে তার এ মন্তব্য ঘিরে দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যরা আপত্তি তুলেছেন।
ফ্রেসার অ্যানিং নামের ওই সিনেটর নিজের দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছেন। দেশটির বড় ও ছোট দলগুলোর রাজনীতিবিদদের একটি দল কুইন্সল্যান্ডের এ সিনেটরের মন্তব্যে সেন্সর আরোপ করতে সিনেটের উচ্চকক্ষে কণ্ঠভোটের আয়োজন করেন।
সিনেটের রক্ষণশীল লিবারেল-ন্যাশনাল সরকারের নেতা ম্যাথিয়াস কোরম্যান বলেন, ফ্রেসার আনিংয়ের মন্তব্য কুৎসিত ও বিভক্তি সৃষ্টিকারী। যেকোনো কারও জন্য তারা ভয়ঙ্কর ও অগ্রণযোগ্য। সিনেটের এই এক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এমনটি প্রযোজ্য।
সিনেটের বিরোধীদলীয় নেতা লেবার পার্টির পেন্নি ওয়াং বলেন, বিদ্বেষ প্রচার ও উগ্রমতাদর্শের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতেই এ সেন্সর আরোপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা অসহনীয়তা ও ঘৃণা ছড়াতে চাচ্ছেন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নস্যাৎ করতে চেষ্টা করছেন, আমাদের অবশ্যই তাদের ত্যাজ্য করতে হবে।
তার মতে, বাকস্বাধীনতা ও বিদ্বেষ প্রচারের মধ্যে সুস্পষ্ট ফারাক আছে। বাকস্বাধীনতা আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য আর ঘৃণার প্রচার হচ্ছে গণতন্ত্রের ওপর হামলা।
২০১৭ সালে আনুপাতিক ভোটিং ব্যবস্থায় বিজয়ী হয়ে সিনেট সদস্য হন ফ্রেসার আনিং।