ভেনিজুয়েলায় সরকারি দায়িত্বে ১৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে। ব্যক্তিগত আর্থিক বিবরণীতে অসঙ্গতি পাওয়ায় সরকারি সব দায়িত্ব পালনে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধান হিসাব নিয়ন্ত্রক এলভিস আমোরোসো এ শাস্তি ঘোষণা করেন। ভেনিজুয়েলায় কয়েকশ’ রুশ সেনা পৌঁছার কয়েকদিন পর সরকারের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেয়া হল। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের এই নিষেধাজ্ঞায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গুইদোর প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপি ও বিবিসির।
খবরে বলা হয়, আর্থিক বিবরণীতে অসঙ্গতির জন্য ভেনিজুয়েলায় এ সাজাই সর্বোচ্চ। এ সাজা অবশ্য এখনই কোনো প্রভাব ফেলবে না। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন কোনো নির্বাচনে দাঁড়াতে গেলে তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। আমোরোসোর ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন গুইদো। আমোরোসো ‘অডিটর জেনারেল নন’ এবং বৈধ পার্লামেন্টই কেবল একজন অডিটর জেনারেলকে নিয়োগ দিতে পারে, বলেছেন তিনি।
গুইদোর ওপর নিষেধাজ্ঞার আগেই গত সপ্তাহে তার চিফ অব স্টাফ রবার্টো মারেরোকে গ্রেফতার করেছে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রশাসন। ৪৯ বছর বয়সী মারেরোর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের’ পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে।
ভেনিজুয়েলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেস্টর রেভেরল বলেছেন, গোয়েন্দারা মারেরোর বাসায় অভিযান চালিয়ে ‘অস্ত্র ও বিদেশি মুদ্রা’ পেয়েছে। গুইদো এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী মারেরোকে আটক করে ‘অবৈধ ও অসাংবিধানিক’ কাজ করেছে। চিফ অব স্টাফের বাসায় যেসব অবৈধ জিনিস পাওয়া গেছে, তা সরকারি বাহিনীই মারেরোর বাসায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে রেখেছিল বলেও দাবি তার।
গুইদোর ওপর মাদুরো সরকারের এই পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবার্ট পালাডিনো এটাকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন। বিরোধী ?নিয়ন্ত্রিত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রধান গুইদো চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিজেকে ভেনিজুয়েলার ‘ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি’ ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ অর্ধশতাধিক দেশ গুইদোকে ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।