ভারতের সবচেয়ে পুরনো দল কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রিয়াংকা গান্ধী যার ব্যক্তিত্বে ভারতের সফলতম ও প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছাপ রয়েছে। তাকে উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চল সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছে কংগ্রেস। এ নিয়ে দেশটির রাজনীতিতে নতুন এক বাঁকবদল দেখা যাচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে প্রিয়াংকার মতো ব্যক্তিত্বের এমন অভিষেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর মোদীর দল বিজেপি এবং অন্য দুই দলের আঞ্চলিক জোট বিচলিত হয়ে পড়েছে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের রাজনৈতিক নিবন্ধ লেখক আশুতোষ। গতকাল এনডিটিভিতে তার নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
কেন প্রিয়াংকা বিরোধীদের মাথাব্যথার কারণ, এর উত্তরে তিনি ওই নিবন্ধে চারটি বিষয় তুলে ধরেছেন-
এক. প্রিয়াংকার রয়েছে প্রশংসিত ব্যক্তিত্ব। এটা কেউই অস্বীকার করতে পারে না। এর আগেও দেখা গেছে, কংগ্রেস কর্মীদের তিনি সমবেত করতে পেরেছেন। তাকে নিয়ে অনেকের আগ্রহ আকাশ-সমান। তার উপস্থিতি কংগ্রেসের ভোটব্যাংক বাড়াবে। এমনকি রাহুল যাদের মন জয় করতে পারেননি, প্রিয়াংকা তাদেরও ভোট অর্জন করতে পারবেন।
দুই. রাহুলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র প্রিয়াংকাই। তার বড় পরামর্শকও বটে। রাহুলকে যা যা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেওয়া দরকার, কোনো সংকোচ ও ভীতি ছাড়াই প্রিয়াংকা তা করতে পারবেন।
তিন. রাহুল ও প্রিয়াংকার মা সোনিয়া গান্ধীর স্বাস্থ্য ততটা ভালো নেই। এ কারণে তিনি খুব বেশি দৌড়ঝাঁপ করতে পারবেন না। ফলে নির্বাচনী প্রচারে রাহুলের সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে পারবেন প্রিয়াংকা। একই সময় দুজন সামলাবেন দুই দিক। ভারত এখনো একটা গ্রামীণ সমাজ। গ্রামীণ অঞ্চলে এখনো ইন্দিরা গান্ধীকে সবাই মনে রেখেছে। তাকে সবাই ‘ইন্দিরা আম্মা’ বলে ডাকে। প্রিয়াংকাকে তারা সেই জায়গায়ই দেখবে। এমনকি এখনই উত্তরপ্রদেশে পোস্টারে পোস্টারে প্রিয়াংকাকে ইন্দিরার মতো করে দেখানো হচ্ছে।
চার. উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে দায়িত্ব প্রিয়াংকার। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। সেখানকার উঁচু শ্রেণির হিন্দু ভোটাররা ওই সময় রাজনৈতিক একটা আশ্রয় খুঁজছিল; তারা পেয়েছিল বিজেপিকে। কিন্তু ওই অঞ্চল আগে থেকে কংগ্রেসের বড় সমর্থক ছিল। ফলে প্রিয়াংকা আবার সেই গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবেন।