ভারতের অসম বিধানসভায় শুক্রবার জুমা নামাজের জন্য অর্ধদিবস ছুটি প্রথার পাল্টা হিসেবে এবার বৃহস্পতিবার পুজোর জন্য একই ঘোষণার দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেবসহ ১০ বিধায়ক। পুজোর ছুটি না দেয়া হলে জুমা নামাজের জন্য অর্ধদিবস ছুটি বাতিল করতে হবে বলে বিজেপি বিধায়কদের দাবি।
বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেবের নেতৃত্বে বিধায়ক যোগেন মহন, ভাস্কর শর্মা, চক্রধর গগৈ, তেরস গোয়ালা, ঋতুপর্ণ বরুয়া, মৃণাল শইকিয়া, রূপক শর্মা, বিমল বরা এবং সুরেন ফুকন বিধানসভার স্পিকার হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামীকে ওই দাবি জানিয়ে এরইমধ্যে চিঠি দিয়েছেন।
বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেবের দাবি, শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন অর্ধছুটির হলে বৃহস্পতিবারও তাই করতে হবে। কেননা হিন্দুদের কাছে বৃহস্পতিবার হল গুরুবার। তিনি বলেন, ‘আমরা ওইদিন মন্দিরে, নামঘরে যাই অনেকে ব্রত পালনও করেন। সেজন্য বিধানসভার অধিবেশন বৃহস্পতিবার অর্ধছুটির হলে হিন্দু বিধায়কদের পুজো-অর্চনায় সুবিধে হয়।
গেরুয়া শিবিরের ওই বিধায়কদের দাবি, মুসলিম বিধায়কদের জুমা নামাজ পড়ার জন্য যদি বিধানসভার অধিবেশনে বিরতি দেয়া হয় তাহলে হিন্দুদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের জন্যও সেই ব্যবস্থা থাকবে না কেন?
এ প্রসঙ্গে অসম জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক এবং দ্বীনি তালিমী বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদির কাশেমি আজ (সোমবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘ওরা যদি ছুটি আদায় করতে পারেন তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু শিলাদিত্য দেব আসলে নিজের অস্তিত্বকে মজবুত করার জন্য এসব উল্টোপাল্টা মন্তব্য করছেন।
মাওলানা আব্দুল কাদির বলেন, জুমার নামাজের জন্য ছুটি তো আমাদের লাগবেই, সেজন্য আমরা কোনো আপোস করতে পারব না। প্রাক-স্বাধীনতার সময় থেকে জুমা নামাজের বিরতি দেয়ার প্রথা চলে আসছে এবং তার বিরোধিতা যদি কেউ করে তাহলে তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য তা করছেন। সরকার নিশ্চয় তা গ্রহণ করবে না। যদি দেখা যায় সরকার তা গ্রহণ করতে চলছে তখন গণতান্ত্রিকভাবে নিশ্চয়ই তার বিরোধিতা করা হবে।