Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্রেন স্ট্রোক কেন হয়?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫০ PM
আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫০ PM

bdmorning Image Preview


আপনি কি ধূমপান করেন? ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আছে? অবসাদে ভুগছেন? তা হলে সাবধান থাকুন। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে এগুলি স্ট্রোক বা ব্রেন স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

আসুন প্রথমে জেনে নিই ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণগুলো কি কি-

১) হাত-পায়ে অবশ ভাব

২) জুতোর ফিতে বাঁধতে সমস্যা

৩) মুখের অসাড়তা, কথা জড়িয়ে যাওয়া

৪) বেসামাল হাঁটা-চলা

৫) ঘাড়ে-মাথায় যন্ত্রণা, বমি, সংজ্ঞা হারানো

মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়ে আক্রান্ত অংশের কোষ নষ্ট হওয়াকে স্ট্রোক বা ব্রেন স্ট্রোক বলে আখ্যায়িত করা হয়। বর্তমান বিশ্বে স্ট্রোক মানুষের মৃত্যুর চতুর্থ কারণ হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে।

প্রাথমিক অবস্থায় কারও স্ট্রোক দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত, তা না হলে রোগীর মস্তিষ্কের বেশি অংশ নষ্ট হয়ে জটিল আকার ধারণ করতে পারে অথবা রোগীর দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা বা মৃত্যু ঘটতে পারে। মস্তিষ্কের রক্তনালি বন্ধ হয়ে ইসকেমিক স্ট্রোক হতে পারে অথবা রক্তনালি ফেটে গিয়েও হিমোরজিক স্ট্রোক হতে পারে। অল্প সময়ের (পাঁচ মিনিটের কম সময়ে) জন্য অজ্ঞান হওয়া, মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা, কথা বলতে সমস্যা, শরীরের কোনো অংশ অবস হয়ে যাওয়া এবং পাঁচ থেকে দশ মিনিটের রোগীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাকে মিটি স্ট্রোক বলা হয়। এ অবস্থাকে অবজ্ঞা না করে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। অধিক পরিমাণে লবন খাওয়া, চর্বি খাওয়া এবং রক্তে অতিমাত্রায় কোলেস্টেরলের উপস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিকস ও উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করে। আমাদের দেশে স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ৬০-৭০ ভাগ রোগী অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা হিসেবে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকে। যদিও স্ট্রোকের সঠিক কারণ নির্ণয় করা এখনো সম্ভব হয়নি। তবে বেশকিছু শারীরিক অবস্থা স্ট্রোকের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেমন- শারীরিক কর্মতৎপরতার অভাব, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিকস বিদ্যমান থাকা, বংশগতভাবে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া ইতিহাসে বিদ্যমান। অতিমাত্রায় মদ্যপান ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হার্টের ভাল্বে সমস্যা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, ইতিপূর্বে মিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া।

প্রতিকার : শারীরিক কর্মতৎপরতা সম্পন্ন করা, ধূমপান ত্যাগ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিকস কন্ট্রোল ও অধিক পরিমাণ লবণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা।

চিকিৎসা : মিনি স্ট্রোক ছাড়া ইসকেমিক ও হিমোরজিক স্ট্রোকে রোগীদের তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অথবা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া অতীব জরুরি। রোগী অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপে বিদ্যমান থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য চিকিৎসা প্রদান করা জরুরি। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য ইনসুলিন জাতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা শ্রেয়। রোগীকে দীর্ঘমেয়াদি অথবা তা থেকে মুক্ত রাখতে প্রদাহ প্রতিরোধক চিকিৎসা, স্ট্রোকের অনেক রোগী খাদ্য গ্রহণে অসমর্থ হয়ে পড়ে, তাদের ইনজেকশন বা নাকে নল দিয়ে খাদ্য গ্রহণের ব্যবস্থা করা। তাই ব্রেন স্ট্রোক নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে।

Bootstrap Image Preview