ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড। বিগত ৫৫ বছর পর পদার্থে প্রথমবারের মতো নোবেল পাওয়া এই নারী বিজ্ঞানী। এ বছর যে তিন পদার্থবিজ্ঞানীকে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারবিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন এই নারীও।কানাডীয় এই বিজ্ঞানী এ যাবত পদার্থে নোবেল পাওয়া তৃতীয় নারী।
লেজার নিয়ে গবেষণায় যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) পদার্থে নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার আশকিনফ্রান্সের রেজার্ড মুরু ও কানাডার ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস মঙ্গলবার তাদের নাম ঘোষণা করে। তারা তিনজন মিলে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও সার্জারিতে লেজার ব্যবহারের নতুন উপায় আবিষ্কার করেছেন।
নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনারের মধ্যে আশকিন পাবেন অর্ধেক। আর বাকি অর্ধেক মুরু ও স্ট্রিকল্যান্ড ভাগ করে নেবেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
এবারের পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কারের ক্ষেত্রে দুইটি রেকর্ড হতে দেখা গেছে। স্ট্রিকল্যান্ড হলেন ৫৫ বছরের মধ্যে পদার্থে নোবেল পাওয়া প্রথম নারী বিজ্ঞানী আর ৯৬ বছর বয়সী আর্থার আশকিন হলেন সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ নোবেলজয়ী।
প্রথম নারী হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন মারি কুরি। ১৯০৩ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান। এরপর মাঝখানে ৬০ বছরের বিরতির পর ১৯৬৩ সালে পদার্থে নোবেল পান মারিয়া গোয়েপার্ট মায়ের নামে আরেক নারী বিজ্ঞানী। আর এবার তৃতীয় নারী হিসেবে পদার্থে নোবেল পেলেন স্ট্রিকল্যান্ড।
গত বছর মহাকর্ষীয় তরঙ্গ অনুসন্ধানের স্বীকৃতিস্বরূপ পদার্থের নোবেল পান যৌথভাবে জার্মান বংশোদ্ভূত রেইনার ওয়েইস ও মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ব্যারি সি ব্যারিশ এবং কিপ এস থোর্নে ।