বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার বড়চাপড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূর স্বামী আব্দুল মান্নান পেশায় একজন দিনমজুর। কাজের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় থাকেন তিনি। গত ৪/৫ দিন আগে উপজেলার পোড়াদহ এলাকায় যান স্বামী মান্নান। বড় মেয়ে নানার বাড়িতে থাকায় স্ত্রী খাওয়া-দাওয়া শেষে ৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে টিনের দরজা কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পরে গ্রামবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্বামী আব্দুল মান্নান জানান, দুই মাস আগে আমার বড় মেয়ের শ্লীলতাহানির একটি ঘটনায় একই গ্রামের এক বখাটের বিরুদ্ধে মামলা করায় তাদের পক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি।
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।