ভারত সরকার সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে সেখানে এক ‘ভয়ংকর’ অবস্থা বিরাজ করছে। তবে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাজ্যকে দায়ী করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
গতকাল বুধবার এক টুইট বার্তায় কাশ্মীরে মুসলমানদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে খামেনি বলেন, ‘ইরান প্রত্যাশা করে কাশ্মীরের জনগণের প্রতি ন্যায়বিচারের নীতিই গ্রহণ করবে ভারত। ’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, খামেনি টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা কাশ্মীরে মুসলমানদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভারতের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আমরা আশা করছি, ভারত সরকার কাশ্মীরের জনগণের কথা ভাববে। সেখানে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন প্রতিরোধ করবে।’
তবে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ব্রিটিশদের দায়ী করে টুইট বার্তায় খামেনি বলেন, ‘কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং এটি নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের জন্য দায়ী ব্রিটিশরা। উপমহাদেশ ত্যাগ করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে কাশ্মীর ইস্যুতে দ্বন্দ্ব জিইয়ে রেখেছে তারা। ’
গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে দ্বিখণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের সপ্তাহ দুয়েক পর গতকাল বুধবার কাশ্মীর বিষয়ে মন্তব্য করলেন খামেনি।
এদিকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি বিস্ফোরক ও অত্যন্ত জটিল বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।