উত্তর কোরিয়া সাইবার হামলা চালিয়ে অর্জিত ২০০ কোটি ডলার তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ব্যবহার করেছে। জাতিসংঘের একটি গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
তারা বলেছে, পিয়ংইয়ং বিভিন্ন ব্যাংক ও গোপন-কোডের মাধ্যমে পরিচালিত শেয়ার বাজারে এসব হামলা চালিয়েছে।
জাতিসংঘের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বৈশ্বিক এই সংস্থাটি উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে ৩৫টি সাইবার হামলার সন্দেহজনক ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রতিবেদনটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উত্তর কোরিয়া নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক কমিটিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ার বাজারগুলোতে সাইবার হামলা চালিয়ে নিজের সমরাস্ত্র কর্মসূচির জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, শেয়ার বাজার ও ব্যাংকিং সেক্টরের ওপর সরকারগুলো প্রচলিত যে নজরদারি চালায় তাকে এমনভাবে ফাঁকি দিয়ে উত্তর কোরিয়া এ অর্থ চুরি করেছে যা সহজে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে দেশটি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সাগরে জাহাজ থেকে জাহাজে পণ্য ও অর্থ লেনদেন করেছে এবং তার গণবিধ্বংসী অস্ত্রের জন্য উপকরণ সংগ্রহ করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া গতকাল মঙ্গলবার দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। গত দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ছিল দেশটির পক্ষ থেকে চালানো চতুর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
আজ বুধবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বার্ষিক মহড়ার বিরুদ্ধে এসব পরীক্ষা ছিল সতর্কবার্তা। পিয়ংইয়ং ওই যৌথ মহড়াকে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ২০০৬ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার কয়লা, লোহা, সীসা ও সাগর থেকে আহরিত খাদ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কাছে অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রির ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।