Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিধবার গর্ভে ৭ মাসের সন্তান!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০১৯, ০৬:০৭ PM
আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯, ০৬:২৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


টাঙ্গাইলে এক বিধবার সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করে হত্যার অভিযোগে ও বিচারের দাবিতে আদালতে মামলা হয়েছে। 

রবিবার (১৬ জুন) টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই বিধবা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল পৌর এলাকার চরকাগমারা গ্রামের মৃত মোন্তাজ আলীর ছেলে শিহাব উদ্দিন (৫২), শিহাবের ছেলে রাসেল মিয়া (৩০), মৃত মহরাজ মিয়ার ছেলে আফছার মিয়া (৪০), আফছারের স্ত্রী লাইলী বেগম (৩৫), মৃত আবেদ আলীর ছেলে মো. লাল মিয়া (৪০), এনায়েতপুর এলাকার মৃত আহাদুল্লাহ ছেলে আব্দুস ছবুর মিয়া (৫৫)।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিহাব উদ্দিনের বাসা পাশের এলাকা হওয়ার সুবাধে মাসে এক হাজার টাকা সুদে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন বিধবার আগের স্বামী। ধার পরিশোধ করার কিছুদিন পর ওই গৃহবধূর স্বামী মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর শিহাব উদ্দিনের কাছ থেকে ফের ১০ হাজার টাকা সুদে নেন ওই গৃহবধূ। টাকা নেয়ার পর শিহাব উদ্দিন ওই নারীর বাড়িতে প্রতিনিয়ত যাতায়াত শুরু করেন ও কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। বিয়ের আশ্বাসে ওই গৃহবধূর সাথে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

এরপর ওই গৃহবধূর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। ফলে গৃহবধূর গর্ভে সন্তান আসে। গর্ভের সন্তানের কথা জানালে শিহাব উদ্দিন ওই গৃহবধূকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা কাবিন রেজিস্ট্রে করিয়া বিয়ে করার আশ্বাস দেন। কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অভিযুক্ত অপর আসামিরা ওই গৃহবধূসহ শিহাবকে নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল শহরের সততা ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ভর্তির পর দায়িত্বরত ডাক্তার গৃহবধূকে ইনজেকশন ও ওষুধ খাওয়ালে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

জ্ঞান ফিরে তিনি বুঝতে পারেন তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে হত্যা করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে ওই গৃহবধূকে শিহাব তার আত্মীয়ের বাসায় রেখে চিকিৎসা করানো হয়। পরবর্তীতে জমি লিখে দেয়ার কথা বলে গত ২০ মে কাজী তিনটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ওই গৃহবধূর স্বাক্ষর নেন। এরপর শিহাব উদ্দিন ওই গৃহবধূকে তার বাপের বাড়ি রেখে আসেন। পরবর্তীতে শিহাব উদ্দিন অন্য নারী নিয়ে কাজীর কাছে জাল খোলা তালাকনামা সৃষ্টি করে ওই গৃহবধূকে তালাক দেন।

ওই গৃহবধূ বলেন, আমি গরিব হওয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিহাব একাধিকবার আমাকে ধর্ষণ করে। গর্ভে সন্তান আসলে চিকিৎসার কথা বলে আমাকে অজ্ঞান করে সেটিকেও নষ্ট করে মেরে ফেলে। আমি শিহাবের ফাঁসি ও অন্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

Bootstrap Image Preview