Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে এশিয়ায় ১২৭ তম স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য আখতারুজ্জামান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০১৯, ০৭:১৮ PM
আপডেট: ২৫ মে ২০১৯, ১০:১৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেছেন, দুটো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং করে। একটি ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ আর অন্যটি ‘কিউএস’ র‌্যাংকিং। সম্প্রতি কিউএস র‌্যাংকিং জরিপে দেখা গেছে, এশিয়ার মধ্যে ১২৭তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে এর আগে ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার ৪১৭টির মধ্যে ছিল না। এই র‌্যাংকিংগুলো কোন মানদণ্ডে হয় সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকবে। কিন্তু একটি বিতর্কের বিষয় বলা যায় ‘কিউএস’ র‌্যাংকিং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ও করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়াতে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, গতকাল লন্ডনভিত্তিক ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ এর একজন প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে কথা বললেন, আমরা যদি তথ্য দেয় তাহলে তারা আমলে নিয়ে আমাদেরকে মূল্যায়ন করবেন। তার মানে আমাদের তথ্যগুলো/ডাটাগুলো তাদের কাছে নেই। তবে আগামীতে সেগুলো তাদের কাছে উপস্থাপন করা হলে র‌্যাংকিংয়ে আওতাভুক্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘কিউএস’ র‌্যাংকিং প্রতিবছর ফ্রি সোর্সেরভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে মূল্যায়ন করে থাকে। গতকাল তারা জরিপ প্রকাশ করেছে কিন্তু আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে প্রতিবছর চিঠি দিয়ে জানায়। এ বছর আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার মধ্যে ১২৭তম।

বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং ডাকসু নেতাদের মতামত উপাচার্য আমলে নিয়েছেন উল্লেখ করে ড. আখতারুজ্জামান বলেন, এই সকল মতামতের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় প্রতিফলন ঘটুক। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় ৪০০ এর মধ্যে আছে কি ৫০০ এর মধ্যে নাই, ১২৭তম আছে কি ১০ এর মধ্যে নাই সেটি নয়।

আমরা চাই ক্রমান্বয়ে উপরে উঠতে, ক্রম অগ্রগতি, ক্রম উন্নয়ন ঘটাতে। সেটি যদি ঘটাতে চায় তাহলে এইখানে অভিমত ব্যক্ত হয়েছে সেই অভিমতসমূহের প্রতিফলন রাখতে হবে।

তিনি বলেন, র‌্যাংকিংয়ের উৎপত্তি হয়েছিল একটি কমার্শিয়াল ভেঞ্চার নিয়ে। এটি মাথায় রাখতে হবে সবার। রাশিয়ার অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো কোনোদিন র‌্যাংকিংয়ে আসে না। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত এবং তার পেছনের বাজেট র‌্যাংকিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে এবং সেটা আমলে নেয় অনেক প্রতিষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিটিভির মহাপরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হারুন-অর-রশীদ এবং সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আফতাব উদ্দিন মানিক। প্রধান বক্তা হিসেবে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম নিবিড়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ডাকসু নেতৃবৃন্দ, ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আলোচনার বিষয়বস্তুর ওপরে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রায়হানুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview