১৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইংরেজি ছেড়ে উর্দু ভাষায় রায় ঘোষণা করল পাকিস্তানের হাইকোর্ট। উর্দুতে রায় ঘোষণাকে পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষ ইতিহাস হিসাবেই দেখছেন।
তাদের মতে, ব্রিটিশ শাসনকাল থেকেই পাকিস্তানের আদালতগুলি সব সময় ইংরেজিতে রায় ঘোষণা করে আসছিল। কিন্তু সেই ইতিহাসকে কার্যত ছুঁড়ে ফেলে নতুন এক অধ্যায় তৈরি করলেন পাকিস্তানের বিচারপতিরা।
উর্দু ভাষায় লিখিত এই রায়ে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিভিন্নস্থানে পবিত্র কোরআনের কিছু কপি ছড়িয়ে পড়েছে। যে গুলির শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব কপি অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করতে হবে বলে নির্দেশে জানিয়েছে লাহোর হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, কোরআন প্রকাশের প্রক্রিয়ায় কড়া নজরদারি চালাতে হবে বলেও নির্দেশে জানিয়েছে আদালত।
শুধুমাত্র বুদ্ধিজীবীরাই নন, পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ এবং একাধিক সংবাদ মাধ্যমও উর্দুতে রায় ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, দেশের ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ। না হলে একটা সময়ে উর্দু পাকিস্তান থেকে হারিয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সে দেশের মানুষজন।
উল্লেখ্য, গত বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ইমরান খান। আর দায়িত্ব নিয়েই ইমরান খান ঘোষণা করেছিলেন, তিনি দেশের জাতীয় ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় জোরালো ভূমিকা পালন করবেন। আর সেই মতো সকল সরকারি কাজসহ বিচার প্রক্রিয়াও যাতে উর্দুতে করা যায় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই মতো প্রথমেই এগিয়ে আসল লাহোর হাইকোর্ট।