Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যে কারণে সকালে ঘুম থেকে ওঠা কঠিন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ মে ২০১৯, ০৭:৩৩ PM
আপডেট: ০২ মে ২০১৯, ০৭:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


অসময়ে শরীরচর্চা ও রাতের খাবার খাওয়া এবং ঘুমানোর আগে দুশ্চিন্তা হতে পারে সম্ভাব্য কারণ।

রাতে ঘুম আসে না আর সকালে অ্যালার্ম দেওয়ার পরও ঘুম ভাঙে না।

অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙলেও শরীর যেন ঘুমানোর আগে যতটা না ছিল তার থেকেও বেশি ক্লান্ত। আর একটু ঘুমিয়ে নেই এই চিন্তার ‘স্নুজ’ করতে থাকা আর চোখের পলকেই দেরি হয়ে গেল অফিসে কিংবা ক্লাসের জন্য।

এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে নিজের সকালের মিল পাবেন সিংহভাগ মানুষ। অনেকে রাতে সময় মতো ঘুমাতে গিয়ে ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর পরও প্রত্যাশিত সতেজতা অনুভব করেন না, অবসাদ লেগেই থাকে।

প্রশ্ন আসতেই পারে, কেনো হচ্ছে এমনটা?

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ভারতের তারকা পুষ্টিবিদ লিউক কুটিনোহ’র দেওয়া পরামর্শ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হল।

শরীরচর্চা: রাস্তার যানজটের কথা চিন্তা করে সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছাতে চাইলে অনেকক্ষণ আগে ঘর থেকে বেরোতে হয়। রওনা দেওয়ার আগে নানারকম প্রস্তুতিতেও সময় যায়। এত কিছুর মধ্যে সকালে শরীরচর্চার সময় বের করা আসলেই জটিল।

তাই স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই সন্ধ্যায় কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে শরীরচর্চা করেন।

ধারণা করা হয়, শরীরচর্চার ক্লান্তির কারণে ঘুম আরও ভালো হবে। তবে সবার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হয় না। শরীরচর্চার পর ক্লান্ত লাগলেও আসলে তা শরীরকে চাঙ্গা করে। ফলে ঘুমানোর আগে কিংবা সন্ধ্যায় শরীরচর্চার কারণে ঘুম চক্র বা ‘সার্কাডিয়ান রিদম’ এলামেলো হয়ে যায়।

যেসময় শরীরের বিশ্রাম নেওয়ার কথা ছিলো, সেসময় শরীর উল্টা কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে। ফলে ঘুম আসতে চায় না।

রাতের খাবার: অধিকাংশ মানুষ রাতের খাবার খান রাত ১০ থেকে ১১ টায়। আর সকালের রুটিন ঠিক রাখতে রাত ১২টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়া উচিত। ঘুমানোর সময়ের এত কাছাকাঠি সময়ে রাতের খাবার খাওয়ার কারণে শরীরের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। কারণ শরীর যদি খাবার হজমের কাজে ব্যস্ত থাকে তবে তা অবশ্যই বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তৈরি নয়। বিভিন্ন খাবার হজম হতে সময়ও চাই ভিন্ন। তাই শাকাহারীদের উচিত রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে ফেলা। আর মাংসাশীদের ক্ষেত্রে তা চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।

ইতিবাচক ভাবনা: কাজের দিনগুলোতে অ্যালার্মে অত্যাচারেও ঘুম ভাঙে না কিন্তু ছুটির দিন অ্যালার্ম বাজার আগেই ঘুম ভেঙে যায়। নিজের উপরই তখন মেজাজটা চটে যায়। একটাই প্রশ্ন ঘুরতে থাকে, কেনো?

এর কারণ হল, রাতে যদি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ঘুমাতে যান, পরের দিনটা যদি জন্য কাঙ্ক্ষিত হয় তবে ঘুম পরিপূর্ণ হবে এবং সময় মতো ঘুম ভাঙবে।

তাই রাতে ঘুমানোর আগে পরের দিনের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। মনে মনে সাজাতে হবে সারাদিনের কাজগুলো। আসন্ন দিনটি গোছানো থাকলে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন। এই সময় মোবাইল ফোন থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।

Bootstrap Image Preview