ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিবেশ-পরিস্থিতিতে প্রযুক্তি দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতায় আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ প্রথম ডিজিটাল ঘোষণাকারী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ছিল কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছে কিন্তু চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মিস করেনি।
মন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ মিলনায়তনে ইনোভেশন ডিজাইন এন্ড অন্ট্রাপ্রনারশিপ একাডেমি’ (আইডিয়া) প্রজেক্ট এবং তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার যৌথ উদ্যোগে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ : চ্যাপ্টার ওয়ান’ এর ২ দিনব্যাপী আনুষ্ঠানে উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা 2008 সালের 12 ডিসেম্বর ডিজিটাল বিপ্লব ঘোষণা করেন। সেই হিসেবে বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম ডিজিটাল ঘোষণাকারীদের দেশ। পৃথিবীর কোন দেশ এর আগে নিজেদের ডিজিটাল ঘোষণা করেনি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে কৃষি নির্ভর দেশ হতে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ডিজিটাল রচনা করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আগামী প্রজন্ম যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে আমরা সেই প্রেক্ষাপট প্রস্তুত করেছি। আমরা ভোক্তার দেশ থেকে উৎপাদকের দেশে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশ এখন মাদারবোর্ড, মোবাইল ফোন তৈরি করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ আশেপাশের সব দেশের চেয়ে অর্থনৈতিক সূচকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। বাংলাদেশের সকল টিভি চ্যানেj শীঘ্রই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর আওতায় আনা হবে।
তরুণদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বয়সের কোটা বাড়িয়ে চাকরি হবে না। বর্তমানে চাকরির যেসব ক্ষেত্র রয়েছে ভবিষ্যতে ৮০ ভাগ ক্ষেত্র বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সুতরাং পেশায় টিকে থাকতে হলে এবং উন্নত করতে হলে ডিজিটাল দক্ষতা থাকতে হবে। এতোদিন শক্তিটা কায়িক শ্রমের উপর নির্ভর থাকলেও তা এখন মেধার উপর নির্ভরশীল। মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যৎ পৃথিবী তোমাদের। কোন কিছু শুরু করতে আইডিয়ার অভাব হয় না। শুধুমাত্র প্রচলিত ধারণার সাথে নতুন কিছু যোগ করলেই হয়। তবে এসব আইডিয়া যেন জনগণের কল্যাণে হয় এবং এ থেকে যেন আয় হয়। অর্থাৎ আইডিয়াকে পণ্য বা সেবায় রূপান্তর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)-এর নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম, আইডিয়া প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সৈয়দ মজিবুল হক, ইয়াং বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন ক্রিয়েটিভিটি এবং অন্ট্রাপ্রিনয়েরশিপ সেন্টার এর ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সুপারনিউমারি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. রশিদুল হাসান, সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন।