Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইমরান খানের সেই বক্তব্যে পাকিস্তান সংসদে হুলুস্থুল কাণ্ড

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:২৫ PM
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:২৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ইরান সফরে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশটির বিরোধী নেতারা।

এ নিয়ে সংসদে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে নামাজের বিরতি ঘোষণা করেন ডেপুটি স্পিকার।

মঙ্গলবার ডেপুটি স্পিকার কাসেম সূরির পরিচালনায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হলে বিরোধী নেতারা ইমরান খানের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। এ সময় সরকারি সংসদ সদস্যরা তাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।

দু’পক্ষের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে গোটা অধিবেশনজুড়ে হইচই শুরু হয়। এ সময় ইমরানের পক্ষে-বিপক্ষে স্লোগানও দিতে দেখা যায় অনেককে।

পরে ইমরান খানের বক্তব্যের প্রতিবাদে স্পিকারের ডায়াসের সামনে বসে অবস্থান নেয় বিরোধী সংসদ সদস্যরা।

সংসদের অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে মুসলিম লীগের (নওয়াজ) খুররম দস্তগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইরানে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ইমরান খান তার বক্তব্যে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, সীমান্তে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী সংগঠনগুলো পাকিস্তানের সৃষ্টি। পাকিস্তান জঙ্গি সংগঠনগুলোকে শেল্টার দেয়। তার এমন বক্তব্য জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

এ সময় ক্ষমতাসীন দলের মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রী শিরীন মিজারী বলেন, ইরানে দেয়া ইমরান খানের বক্তব্যটি বুঝতে হলে তার পুরো কথা শুনতে হবে। মুসলিম লীগের শাসনামলে তো মোদিকে পাকিস্তানে দাওয়াত করে আনা হয়েছিল। ইরান এবং পাকিস্তান যৌথভাবে বিচ্ছিন্নবাদীদের দমন করবে। উভয় দেশ এ বিষয়ে একমত হয়েছে।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেত্রী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনা রাব্বানী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ইরানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আমাদের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করা হয়েছে। এ কথার মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানকে ছোট করেছেন। ইদানীং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেসামাল কর্থাবার্তা বলছেন। কয়েকদিন আগে বললেন, মোদি ক্ষমতায় এলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী মুরাদ সাইদ বিরোধীদের সমালোচনা শুরু করলে এ সময় হট্টগোল শুরু করে। এ সময় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিরোধী সংসদ সদস্যরা এ সময় স্পিকারের ডায়াসের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে বিভিন্ন কাগজপত্র ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে ডেপুটি স্পিকার নামাজের বিরতি ঘোষণা করেন।

সূত্র: ডন ও এক্সপ্রেস নিউজ

Bootstrap Image Preview