তাঁর দেশ বিশ্বকাপ খেলে না। বিশ্ব ক্রিকেটে এখনও তেমনভাবে জায়গা করে উঠতে পারেনি। কিন্তু সেই দেশ থেকেই উঠে আসা ছোট ছেলেটি ক্রিকেট বিশ্বে ইতিমধ্যেই বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। ১৮ বছরের নেপালি লেগ-স্পিনার সন্দীপ লামিচানে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন গত বছর আইপিএল জায়গা করে নিয়ে। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি আইপিএলে দল পেয়েছেন। এই বছরও দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন সাফল্যের সঙ্গে। কিন্তু কোথাও একটা হতাশা কাজ করছে। আইপিএলের মাঝেই যখন বিশ্বকাপের দামামা বেজে গিয়েছে সব দেশে এবং আইপিএল খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে তখন নিজেকে কিছু বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতি হয়তো মনে হচ্ছে সন্দীপের।
আইসিসি ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ১০ দল খেলবে বিশ্বকাপে। সেই তালিকায় তাঁর দেশ নেই। সন্দীপ লামিচানে বলেন, ‘‘বলার জন্য দুঃখিত, কিন্তু তবে ১০ দলের বিশ্বকাপ আমাদের মতো প্লেয়ারদের জন্য খুব হতাশার যারা খেলতে পারছে না।''
এর সঙ্গে সন্দীপ আরও জুড়ে দেন, ‘‘আমার মনে হয়, বিশ্বকাপ ১৪-১৬ দলের হওয়া উচিৎ।''
লামিচানে বলেন, ‘‘বিশ্বকাপ চার বছর পর পর আসে। সেখানে খেলাটা সব থেকে বড় স্বপ্ন সব দলের। আমরা উদীয়মান দেশ। আর আমরা দেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে চাইব। ২০২৩-ও ১০ দলেরই হবে। তখনও আমরা ৫০ ওভারের এই ইভেন্ট খেলার ভাবনা থেকে দূরে থাকব।''
লামিচানেকে বোলিং স্টাইলে তুলনা করা হয় শেন ওয়ার্নের সঙ্গে। তাঁর হিরোও তিনিই। তাই স্টাইলেও পিছিয়ে নেই নেপালের একমাত্র তারকা ক্রিকেটার। সে চুলের স্টাইল হোক বা কানের দুল। সবেতেই হিরোকেই অনুসরণ করছেন তিনি।
গত বছরই আন্তর্জাতিক ওডিআই খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে নেপাল। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলা থেকে এখনও অনেকটাই দূরে রয়েছে।
চলতি আইপিএল-এ লামিচানে চার ম্যাচে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন। লামিচানে বলেন, ‘‘এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে আইপিএল বিশ্বের বৃহত্তম লিগ। এখানে সেই সব বোলারদের দেখা যায় যারা দারুন স্পিন করে আবার বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে বল করা যায়।''