মালয়েশিয়ায় যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন হয়েছেন। শ্রমিকদের নিয়ে তে নীলাই, নেগরি সেম্বিলান থেকে এয়ারপোর্ট অভিমুখে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ৩৪ জন।
রোববার রাত ১১টায় মালয়েশিয়ার কে এল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের এমএএস কার্গো, জালান এস-৮ পেকেলিলিংয়ের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই বাংলাদেশিসহ ৯ জন নিহত হন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাসচালকসহ মারা যান আরও ৫ জন। হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকও রয়েছেন।
নিহত বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজনের মধ্যে ২ জন চাঁদপুর, ২ জন কুমিল্লা ও ১ জন নোয়াখালীর রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা হলেন, চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার দেবপুর ৪নং ওয়ার্ডের মো আনোয়ারের ছেলে সোহেল (২৪), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার চরভাগল ৩নং ওয়ার্ডের মো. আমির হোসেনের ছেলে আলামিন (২৫), কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার দুরলবপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মহিন (৩৭), কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার হাসানপুর কলেজ পাড়ার ঢাকাগাঁও গ্রামের মো. ইউনুস মুন্সির ছেলে মো. রাজিব মুন্সি (২৭) ও নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার নোয়াখোলা ২নং ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদের ছেলে গোলাম মোস্তফা।
এ ছাড়া পরিচয় পাওয়া আহত বাংলাদেশিরা হলেন সেরডাং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমরান হোসাইন (২১), মোহাম্মদ নাজমুল হক (২১), মোহাম্মদ রজবুল ইসলাম (৪৩) এবং পুত্রাজায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ ইউনুস (২৭), জাহিদ হাসান (২১), শামীম আলী (৩২) ও মোহাম্মদ রাকিব (২৪)।
চিকিৎসাধীন ৮ জনের মধ্যে ৪ জনের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
কে এল আই এয়ারপোর্টের ওসিপিডির সহকারী কমিশনার জুলকিফলি আদম শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় বাসটি ৪৩ জন শ্রমিক বহন করছিল। তারা এমএএস কার্গোতে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন।
এ দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের লেবার কাউন্সিলার জহিরুল ইসলাম ছুটে যান ঘটনাস্থলে। সেখান থেকে সারডাং, বান্তিং ও পুত্রাজায়া হাসপাতালে দেখতে যান হতাহতদের।
লেবার কাউন্সিলার জহিরুল ইসলাম বলেন, নিহত বাংলাদেশি ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, যারা নিহত হয়েছেন আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুত তাদের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি হতাহতদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।