ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ মানেই অর্থের ঝনঝনানি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এদিক থেকে যেন সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। এই লিগে কোটি কোটি রুপিতে বিক্রি হন ক্রিকেটাররা। আবার আইপিএলের জন্য অপেক্ষায় বসে থাকেন জুয়াড়িরা।
তারা শয়ে-শয়ে পাউন্ড বাজি ধরেন কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি বা তার ক্রিকেটারদের উপর। কখনও টিমের জয়, কখনও প্লেয়ারের রানসহ নানা বিষয়ে বাজি ধরা হয়। আইসিসিসহ বিভিন্ন ক্রিকেট বোর্ড শক্ত পদক্ষেপ নিয়েও এদের ঠেকাতে পারছে না।
বছরের এই দুই মাসে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ব্যস্ত হয়ে ওঠে। গড়ে প্রতি ম্যাচে ৬ কোটি থেকে ৭ কোটি পাউন্ডের বাজি ধরা হয়। শুধু বেটফেয়ার নামক বেটিং সংস্থাতেই গত বছর গোটা আইপিএলে বাজি ধরা হয়েছিল ৪৩০ কোটি পাউন্ডের।
আর বেটফেয়ারের মতো আরও অনেক সংস্থা আছে ব্রিটেনে, যেখানে বাজি ধরা যায়। শুধু ক্রিকেটাররা নন, এই জুয়াড়িরাও ভাগ্যের সাহায্য পেলে বিশাল অর্থ কামিয়ে নেন আইপিএলের সময়।
লন্ডনবাসী এক কুখ্যাত ব্রিটিশ জুয়াড়ি সগর্বে দাবি করেছেন, 'আমার এই বাড়ি আসলে তৈরি করে দিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।'
'ট্রেভর' ছদ্মনামের লন্ডনের আরেক জুয়াড়ির আয়ের লক্ষ্য জানলে অবাক হতে হয়। ট্রেভরের কথায়, 'আইপিএলের প্রতি ম্যাচ থেকে ১০০০ থেকে ২০০০ পাউন্ড আয়ের লক্ষ্য থাকে। প্রায় ৬০টা মতো ম্যাচ থাকে। যদি ম্যাচ পিছু ৫০০ পাউন্ডও আয় হয়, তা হলেও ৩০ হাজার পাউন্ড কামিয়ে নেওয়া যায়।'
তবে ট্রেভর মেনে নিয়েছেন, সফল ভাবে বেটিং করতে রীতিমতো খোঁজখবর রাখতে হয়। ভেন্যুর পিচ কন্ডিশন, কোন প্লেয়ারের ফর্ম কীরকম, কোন প্লেয়ারের খারাপ ফর্ম যাচ্ছে- এসব বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হয়। বড় মাপের জুয়াড়িরা ক্রিকেটার এমনকী মালিকপক্ষকেও টাকার লোভ দেখিয়ে হাত করে ফেলেন মাঝেমধ্যে।
এজন্য যেমন পরিশ্রম করতে হয়; তেমনই আছে প্রচণ্ড ঝুঁকি। তবে স্রেফ দুই মাসের জন্য এই খাটুনিতে যদি প্রচুর পয়সা আসে, তবে আপত্তি নেই ট্রেভরের মতো জুয়াড়িদের।