Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

`ক্রাইস্টচার্চের হত্যাকাণ্ড মুসলমান অভিবাসনের পরিণতি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৫৭ PM
আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড মুসলমান অভিবাসনের পরিণতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার একজন উগ্রডানপন্থী সিনেটর। তবে তার এ মন্তব্য ঘিরে দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যরা আপত্তি তুলেছেন।

ফ্রেসার অ্যানিং নামের ওই সিনেটর নিজের দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছেন। দেশটির বড় ও ছোট দলগুলোর রাজনীতিবিদদের একটি দল কুইন্সল্যান্ডের এ সিনেটরের মন্তব্যে সেন্সর আরোপ করতে সিনেটের উচ্চকক্ষে কণ্ঠভোটের আয়োজন করেন।

সিনেটের রক্ষণশীল লিবারেল-ন্যাশনাল সরকারের নেতা ম্যাথিয়াস কোরম্যান বলেন, ফ্রেসার আনিংয়ের মন্তব্য কুৎসিত ও বিভক্তি সৃষ্টিকারী। যেকোনো কারও জন্য তারা ভয়ঙ্কর ও অগ্রণযোগ্য। সিনেটের এই এক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এমনটি প্রযোজ্য।

সিনেটের বিরোধীদলীয় নেতা লেবার পার্টির পেন্নি ওয়াং বলেন, বিদ্বেষ প্রচার ও উগ্রমতাদর্শের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতেই এ সেন্সর আরোপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা অসহনীয়তা ও ঘৃণা ছড়াতে চাচ্ছেন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নস্যাৎ করতে চেষ্টা করছেন, আমাদের অবশ্যই তাদের ত্যাজ্য করতে হবে।

তার মতে, বাকস্বাধীনতা ও বিদ্বেষ প্রচারের মধ্যে সুস্পষ্ট ফারাক আছে। বাকস্বাধীনতা আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য আর ঘৃণার প্রচার হচ্ছে গণতন্ত্রের ওপর হামলা।

২০১৭ সালে আনুপাতিক ভোটিং ব্যবস্থায় বিজয়ী হয়ে সিনেট সদস্য হন ফ্রেসার আনিং।

Bootstrap Image Preview