Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শান্তির স্বর্গোদ্যানে খুনোখুনি বিরল ঘটনা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৬ PM
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


নিউজিল্যান্ডকে বলা হয় শান্তির স্বর্গোদ্যান। এক বছরে খুনের ঘটনা ঘটেছিল মাত্র ৩৫টি। এমন শান্তির স্বর্গোদ্যানেই আজ কয়েক মিনিটের মধ্যে ৪৯ জনকে নৃশংস হত্যা! এ রকম নারকীয় হত্যালীলা এর আগে কখনও দেখেনি নিউজিল্যান্ড। কিউইদের কাছে কালো দিন তো বটেই, এ যেন কল্পনারও অতীত!

নিউজিল্যান্ডের অতীত ইতিহাসও চিরশান্তির সাক্ষ্য দেয়। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ৫০ লক্ষ। ছবির মতো এই দেশে অপরাধের রেকর্ড খুবই কম। সারা বছর খুন, চুরি-ডাকাতির ঘটনা রীতিমতো বিরল। সেই কারণেই নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ২০১৮ সালে শান্তিপ্রিয় দেশের তালিকায় নিউজিল্যান্ড আছে দুই নম্বরে। সবার শীর্ষে আছে আইসল্যান্ড। তার পরই নিউজিল্যান্ড। সুতরাং কিউইরা মনেই করে না যে, তাদের দেশে এমন ভয়াবহ ঘটনা কেউ ঘটাতে পারে!

নিউইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে নিউজিল্যান্ডে অপরাধের পরিসংখ্যানও প্রকাশ করা হয়েছিল। তা থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডে মাত্র ৩৫টি খুনের ঘটনা রেকর্ড হয়েছে। অর্থাৎ খুনের ঘটনা প্রায় বিরল নিউজিল্যান্ডে। আর গুলি করে খুন আরও বিরল। গত ১০ বছরে গুলি করে খুনের সংখ্যা দুই অঙ্কেও পৌঁছায়নি। ২০০৯ সালে গুলি করে এক সঙ্গে ৯ জন খুনের ঘটনা ঘটে। তবে সেটাও ছিল ব্যক্তিগত বিবাদের জের। এই ঘটনা বাদ দিলে এই রকম গণহত্যা আর দেখেনি নিউজিল্যান্ড!

কিউইরা যে কতটা শান্তিপ্রিয়, তা আরও স্পষ্ট হবে অন্য একটি পরিসংখ্যানে। খুনের সংখ্যা বিরল হলেও দেশটির প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই আগ্নেয়াস্ত্র আছে। একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ৫০ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের হাতে বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে। ২০০৯ সালে ওই ঘটনার পর বন্দুকের লাইসেন্স নীতিতে কিছু পরিবর্তন হওয়ার পরও এই সংখ্যা। এত মানুষের হাতে বন্দুক থাকা সত্ত্বেও খুনের সংখ্যা হাতে গোনা! এ থেকেই সেখানকার বাসিন্দাদের শান্তিপ্রিয় মানসিকতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

হামলা মসজিদে হলেও নিউজিল্যান্ডে মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ মুসলিম। তার মধ্যেও আবার চার ভাগের তিন ভাগই জন্মসূত্রে কিউই নাগরিক নন। তাই হামলার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন বলেছেন, 'এই হামলায় নিহতরা শরণার্থী হতে পারেন। হতে পারেন তারা উদ্বাস্তু। কিন্তু তারা নিউজিল্যান্ডকে তাদের নিজের দেশ, নিজের মাতৃভূমি বলেই মনে করতেন। এই হামলায় সেই মর্যাদায় বিন্দুমাত্রও চিড় ধরবে না।'

Bootstrap Image Preview