Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আসামে বিষাক্ত মদ পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫, আহত ৩৫০

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৪০ AM
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৪০ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আসামে বিষাক্ত মদ্যপানে অন্তত ১০৫ জন চা বাগান শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরো প্রায় ৩৫০ জন। দুই সপ্তাহ আগে দেশটির উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে বিষাক্ত মদপানে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির পর আসামে এ ঘটনা ঘটলো।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, অবৈধ উপায়ে তৈরি এসব মদ স্থানীয়ভাবে হুচ এবং দেশী মদ নামে পরিচিত। আসামের গোলাঘাট এবং জোরহাট এলাকায় পৃথক মদ্যপানের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। এ ঘটনায় রাজ্য সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।

আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার রয়টার্সকে বলেন, প্রতি ১০ মিনিট পরপরই তারা নতুন নতুন জায়গা থেকে মৃত্যুর খবর পাচ্ছেন।

রাজ্য পুলিশ বলছে, গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার পূর্বাঞ্চলের গোলাঘাটের চা বাগানের অনেক শ্রমিক মদ্যপানে অসুস্থ। ফলে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার রাতে বিষাক্ত মদ্যপান করেছিলেন চা বাগানের কয়েকশ শ্রমিক। মদ্যপানের সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাটের চা বাগানের শতাধিক শ্রমিক গত বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বেতন পাওয়ার পর স্থানীয়ভাবে তৈরি দেশি মদ ‘হোচ’ পানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃতদের মধ্যে অন্তত নয়জন নারী শ্রমিক রয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ওই ঘটনার পর চা বাগানটির নিকটবর্তী জুগিবাড়ি এলাকার ওই অবৈধ মদ প্রস্তুতকারক ফ্যাক্টরির মালিকদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের নাম ইন্দুকল্প বোরদোলাই ও দেবা বোরা বলে জানা গেছে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আরও কয়েকজনকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গোলাঘাট সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক দিলীপ রাজবংশী বলেন, ‘ভেজাল দেশি মদ’ খাওয়ার কারণেই শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে।

Bootstrap Image Preview