Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাকিস্তানে যুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পন্ন, হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:১২ PM
আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:১২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের তিক্ত সম্পর্ক প্রায়ই আক্রোশে রুপ নেয়। সবচেয়ে বেশি প্রভাব লক্ষ্য করা যায় দুই দেশের ক্রিকেট ম্যাচে। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পর এই দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজন বিরাজ করছে। প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে ভারতের বুকে। ওদিকে পাকিস্তানের হুঙ্কারও থেমে নেই। আর এই উত্তেজনা আরো এক ধাপ বাড়াচ্ছে দেশ দুটির গণমাধ্যম। যুদ্ধের আশঙ্কা থেকে সামরিক দিক থেকে কার কত শক্তি সেই হিসেব কষছে গণমাধ্যমগুলি।

সর্বশেয় ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া খবর দিয়েছে, যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এমনকি দেশটির হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।

পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তার প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যমটি। এ সংক্রান্ত দুইটি সরকারি নথি তাদের হাতে এসেছে বলে দাবি তাদের। নথি দুটির মধ্যে একটি বেলুচিস্তানের পাকিস্তানি সেনাঘাটির এবং অপরটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসনকে (পিওকে) দেওয়া একটি নোটিশ।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিলানি হাসপাতালকে চিঠি দিয়ে জরুরি অবস্থার জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে কোয়েটার পাক সেনাঘাঁটি। হেডকোয়ার্টার্স কোয়েটা লজিস্টিকস এরিয়ার ফোর্স কমান্ডার জিলানি হাসপাতালের আবদুল মালিককে চিঠিতে লিখেছেন, ভারতের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধ লাগলে সিন্ধ ও পাঞ্জাব থেকে আহত সেনা ও সাধারণ মানুষ হাসপাতালে আসতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর সেই হাসপাতাল থেকে তাদের বেলুস্তানের সিভিল হাসপাতালে পাঠানোর পরিকল্পনা হবে।

এছাড়া ওই চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, প্রদেশের সব সেনা ও সাধারণ হাসপাতালে সবরকম মেডিকেল সহযোগিতার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে সেনা হাসপাতালের পাশাপাশি সাধারণ হাসপাতালেও ২৫% আসন আহত সৈনিকদের জন্য সংরক্ষিত করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় ভারতের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) কনভয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ৪৪ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি। এরপর থেকে এ ইস্যু নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে।

Bootstrap Image Preview