ভারতে পাকিস্তানের চেয়ে ৮ হাজার কোটি ডলার বেশি বিনিয়োগ করবে সৌদি

সাম্প্রতিক সময়ে তিন জাতির এশিয়া সফরে ভারতে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এর আগে অর্থনৈতিকভাবে বিধ্বস্ত দেশ পাকিস্তানে দুই হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন যুবরাজ।আর এই বিনিয়োগের মাধ্যমে ভারত-সৌদি সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে মনে করেন তিনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বুধবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুবরাজ দিল্লির সঙ্গে প্রযুক্তি ও অন্যান্য ছোট ছোট কোম্পানি খাতে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের কথা জানান।

এর পাকিস্তান সফরের আগে দুই দেশের মধ্যে ১ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত বদলিয়ে দুই হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন যুবরাজ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভারতের বাজারে বিনিয়োগের ঘোষণা অপ্রত্যাশিত নয়। কারণ, তেল-গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধির হারের দিক থেকে ভারত এখন বিশ্বের প্রথম। রিয়াদের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে তারা। ভারতের বাজার সৌদি যে বিনিয়োগ করবে এটা অনুমিতই ছিল।

যুবরাজ বিন সালমান বলেন, ‘আমরা আশা করছি ভারতের বিভিন্ন খাতে সৌদির সঙ্গে যে বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে তাতে করে আগামী দুই বছরের মধ্যে তা ১০ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। দুই দেশের সরকারের পক্ষ থেকে এসব বিনিয়োগ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হবে। যািউভয় পক্ষের জন্য সুখবর বয়ে আনবে।’

সৌদি যুবরাজের সফরে দুই দেশের পর্যটন, আবাসন, পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগের চুক্তি হয়েছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজসহ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছে বিশ্বের বৃহত্তম তেল-গ্যাস সংস্থা সৌদি অ্যারামকো। ভারতে ব্যবসা বাড়াতে আগ্রহী সৌদি পেট্রোকেম সংস্থা স্যাবিকও।

বর্তমানে ব্যাপক অর্থ সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে ধর্না দিয়েছেন।

সৌদির সঙ্গে এই চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের বন্দর নগরী গোয়াদাং একটি তেল শোধানাগার তৈরি হবে। যেখানে ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি জ্বালানি, পেট্রো কেমিক্যাল ও খনি খাতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সৌদি যুবরাজ সালমান বলেন, এটি দুই দেশের জন্য বড় অধ্যায়। এবং নিশ্চিতভাবে প্রতি মাস এবং প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এবং এতে উভয় দেশ লাভবান হবে।