ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় ৪২ জন সিআরপিএফ সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনায় এখন হুমকির নিশানায় কাশ্মীরি জনগণ। বিভিন্ন এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জম্মুতে কাশ্মীরিদের ওপর হামলার জেরে জারি করা হয়েছে কার্ফু। হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৭ জন।
এছাড়া ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কাশ্মীরি পড়ুয়ারা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। কাশ্মীরিদের ওপরে হামলার প্রতিবাদে হরতাল ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার আম কাশ্মীরি মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে ইতিমধ্যে বিশেষ নির্দেশ জারি করেছে।
দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার কারণে ছাত্রদের এবং জম্মু ও কাশ্মীরের অন্যান্য বাসিন্দাদের হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এজন্য ভারতের সব রাজ্যে একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও পড়ুয়াদের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। যে ছাত্ররা বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁদের সাহায্য করছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলিও।
খবরে বলা হয়েছে, ভারতের দেহরাদুনে স্থানীয় কিছু বাড়িতে ভাড়া থাকেন কিছু কাশ্মীরি শিক্ষার্থী। তারা অভিযোগ করেছেন যে, তাদের বাড়িওয়ালাদের ভাড়া তুলে দিতে বলা হয়েছে। একই রকম ঘটনার খবর আসছে হরিয়ানা ও বিহার থেকেও।
পাটনায়, কাশ্মীরের একজন ব্যবসায়ী বশির আহমেদ বার্তা সংস্থা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, আমার দোকানের বাইরে কয়েকজন ব্যক্তি লাঠিসোটা হাতে জড়ো হন। তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখন আমি পুলওয়ামার আক্রমণ সম্পর্কে জানতামও না। কিন্তু ওরা আমার দোকানের জিনিস ধ্বংস করে দেয়, আমাকে, আমার কর্মচারীদের মারধোর করে।
তিনি আরো বলেছেন, আমি গত ৩৫ বছর ধরে পাটনাতে কাজ করছি এবং কখনোই কোনো সমস্যা বা বৈষম্যের মুখোমুখি হইনি। প্রতি বছর ৬ মাস আমি এখানেই থাকি, এবং কাশ্মীরের চেয়েও পটনা বেশি ভালো লাগে। আমার রাজনীতির সঙ্গে কোনো যোগ নেই। আমি কাজেই এত ব্যস্ত থাকি যে খবর শোনার সময়ও হয় না।
এছাড়া, জম্মুতে, কয়েক ডজন গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। তৃতীয় দিনে পড়ল এই শহরের কারফিউ পরিস্থিতি।