রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে—এভাবে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লায়াং স্বীকারের পর বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা নিপীড়নের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।
জাপানি সংবাদমাধ্যম আশাহি শিমবুনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর একাংশ এই নিপীড়ন চালিয়ে থাকতে পারে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা নিপীড়ন শুরুর পর থেকে এই প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমে মিন অং সাক্ষাৎকার দিলেন৷ মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটনের অভিযোগে দেশটির সেনাপ্রধান ও অপর পাঁচ শীর্ষ সেনা কমান্ডারকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের তদন্তকারীরা৷ তার জবাবেই এই দাবি মিয়ানমার সেনাপ্রধানের৷
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীরা যা মন চায় বলেছে৷'' কোনো প্রমাণ ছাড়া বিশ্বব্যপী সবাই যে মিয়ানমারের সমালোচনা ও নিন্দা করছে এটি দেশটির জন্য অসম্মানজনক বলে মনে করেন তিনি৷
২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক বাহিনীর অভিযানের কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমার সেনাঘাঁটিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা৷ তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যেই অভিযান চালানো হয়েছিল৷ নীপিড়ন করা হয়নি৷''
এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি জানিয়েছেন, তিনি মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের কোনও সাক্ষাৎকার দেখেননি। তবে গত বছর জাতিসংঘের সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে মিয়ানমার সরকার। সেখানে রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ আবাসে ফিরে যাওয়ার পূর্ণ অধিকারের বিষয়েও সম্মতি প্রকাশ করেছে মিয়ানমার।
তিনি আরও বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। কারও ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার বিবেচনার বিষয় নয়।