Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মহাদেবপুরে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ গাইড বই বাণিজ্য

ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:০৯ PM
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:২০ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


বছরের শুরুতেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে সরকার থেকে বই দেয়া হলেও নওগাঁর মহাদেবপুরে এক শ্রেণীর অসাধু শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রকাশনী কোম্পানীর কাছ থেকে মোটা অংকের কমিশন নিয়ে গাইড বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ‘বুক লিষ্ট’ নামে একটি বইয়ের তালিকাও সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে বইয়ের দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

একই পরিবারে একাধিক ছেলেমেয়ে পড়াশুনা করায় গাইড কিনাও সম্ভব হয়না অনেকের। ফলে পিছিয়ে পড়তে হয় তাদের। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গাইড বই বাণিজ্য। এ ব্যাপারে প্রশাসন দর্শকের ভূমিকায় চুপচাপ থাকায় সরকারি আদেশ এখন একটি কাগজই আদেশে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক অনুমোদন ব্যতিত পাঠ্য তালিকায় কোন বই ব্যবহার করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের লক্ষ্যে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে গাইড বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও উপজেলায় চলছে এসব বইয়ের জমজমাট ব্যবসা। শহরের বাজার রোডে গড়ে উঠা লাইব্রেরিতে এসব নিষিদ্ধ বই অবাধে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসের রহস্যজনক নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অভিভাবক মহলে। তারা এ বাণিজ্য রোধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযান কামনা করছেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষকরা তাদের সন্তানদের গাইড বই কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিদ্যালয়গুলোতে অনুমোদনবিহীন গাইড বই, বাংলা ব্যাকরণ, ইংরেজী ব্যাকরণ পড়ানো হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে তারা সন্তানদের সেসব বই কিনে দিচ্ছেন।

জানা গেছে, শহরের বাজার রোডে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ লাইব্রেরী, রহমানিয়া লাইব্রেরী, ইসলামীয়া লাইব্রেরীসহ অন্যান্য লাইব্রেরী মালিকরা সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত গাইড বই এবং এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন বাংলা ব্যাকরণ, ইংরেজী ব্যাকরণ বিক্রি করছে। এসব লাইব্রেরীতে ষষ্ঠ থেকে নবম-দশম শ্রেণীর সংসদ, জননী, অনুপম, জুপিটার, আল-ইমতেহান, আল-ফাতাহ, ফুলকুড়ি প্লাসসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড বই পাওয়া যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হাবিবুর রহমান জানান, নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের ব্যাপারে সৃজনশীল পদ্ধতিই দায়ী। এনসিটিবি’র অনুমোদনবিহীন বই ব্যবহার থেকে শিক্ষকদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

Bootstrap Image Preview